Home শীর্ষ খবর জ্বালানির আমদানি বেড়েছে, বিপিসির সক্ষমতা বাড়েনি

জ্বালানির আমদানি বেড়েছে, বিপিসির সক্ষমতা বাড়েনি

দখিনের সময় ডেস্খ

গত ১০ বছরে দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা অব্যাহতভাবে বেড়েছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) প্রতিনিয়ত জ্বালানি তেল আমদানির পরিমাণও বাড়িয়েছে। কিন্তু বিপিসির সক্ষমতা বাড়েনি। পরিবহন, লোড-আনলোড হয় সেকেলে পদ্ধতিতে, অটোমেশনে অগ্রগতি নেই পরিশোধন ক্ষমতা না বাড়ায় বেশি দামে তেল আনতে হয় জেটি সংকটের কারণে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় জাহাজগুলোকে

বিপিসির জ্বালানি তেলের ধারণক্ষমতা প্রয়োজন অনুসারে বাড়েনি। তৈরি হয়নি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। জ্বালানি তেল লোড-আনলোাড এবং সরবরাহ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করা হয়নি। সেকেলে পদ্ধতিতেই চলছে কার্যক্রম। অটোমেশনের বিষয়ে বছরের পর বছর ধরে আলাপ-আলোচনা হলেও কার্যত অগ্রগতি নেই। এদিকে, জেটি সংকটের কারণে তেল খালাসে সময় লাগায় বিদেশি জাহাজগুলোকে দিতে হয় ক্ষতিপূরণ। এ ছাড়া গত ১০ বছর চেষ্টায় দ্বিতীয় রিফাইনারি ইউনিট স্থাপন করতে ব্যর্থ হওয়ায় অতিরিক্ত দামে পরিশোধিত তেল কিনতে হচ্ছে বিপিসিকে।

বিপিসির জ্বালানি তেলের মজুদ সক্ষমতা না বাড়ায় বড় সমস্যা হচ্ছে বিশ্ববাজারে দাম কমে গেলে আমদানি বাড়িয়ে মজুদ করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে আপদকালীন মজুদও বাড়ানো যায় না। ফলে তেলের বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল হলে অল্পদিনেই এর প্রভাব পড়ে দেশের বাজারে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। এ ছাড়া বিপিসির প্রাক্কলিত আমদানি ব্যয়ের তুলনায় প্রকৃত ব্যয় বেশি হয়ে গেলে আর্থিক সংকটে পড়ে সংস্থাটি।

করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন জ্বালানি তেলের দাম খুব কম ছিল, তখন ভারতসহ অন্যান্য দেশ জ্বালানি তেল কিনে সংরক্ষণ করে। কিন্তু মজুদ সক্ষমতা না থাকায় বাংলাদেশ কম দামে তেল পাওয়ার সুবিধা নিতে পারেনি। সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫০ বছরের পুরাতন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিপিসির আধুনিকায়ন হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপিসি জ্বালানি তেল আমদানি আর বিক্রিতেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। বিশ্ব পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজের সংস্কার করতে পারেনি।

বিদেশ থেকে আসা জ্বালানি তেল মাদার ভেসেল চট্টগ্রামে গভীর সমুদ্রে নোঙর করা থাকে। সেখান থেকে লাইটার জাহাজ বিপিসির প্রধান ডিপোতে বা তেল বিপনন কোম্পানিগুলোর সংরক্ষণাগারে খালাস করা হয়। এরপর ছোট ছোট জাহাজে করে দেশের বিভিন্ন ডিপোতে পৌঁছে দেওয়া হয়। সারাদেশে জ্বালানি তেল পরিবহনের যে রুট তার মধ্যে শতকরা ৯০ শতাংশ জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো নৌপথে। ৮ শতাংশ রেলপথে এবং বাকি দুই শতাংশ সড়কপথে। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে নৌ-পথে জ্বালানি তেল সরবরাহ কমেছে। এক হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরে নৌপথে ৮৪ শতাংশ জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়েছে। নৌপথে জ্বালানি তেল পরিবহন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ বলা হচ্ছে দেশের নদ-নদীগুলোর নাব্য সংকট।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বিচারক নিয়োগ নীতিমালা: প্রধান বিচারপতি

দখিনের সময় ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে নীতিমালা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে। একই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট আইনও করা হবে বলে...

গায়েবি মামলার কালচার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: আসিফ নজরুল

দখিনের সময় ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিচার বিভাগ ব্যবহার করে মানুষকে হয়রানি করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিগত...

ইসরায়েলে মশাবাহিত ‘ওয়েস্ট নাইল’ ভাইরাসে নিহত ৭০, আক্রান্ত ৯১৩

দখিনের সময় ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দু’টি দেশ লেবানন ও ফিলিস্তিনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে না করতেই, দেশটি নতুনভাবে লেবাননে যুদ্ধ শুরু করেছে। এদিকে, মশাবাহিত...

বিআরইউ’র সভাপতি আনিসুর, সম্পাদক খালিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির (বিআরইউ) সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন (নিউ এইজ / ঢাকা ট্রিবিউন) আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খালিদ সাইফুল্লাহ (নয়া...

Recent Comments