কাজী হাফিজ ॥
একদিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর তাদের তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। অন্যদিকে দুই পরিবহন শ্রমিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং তাদের মুক্তির দাবিতে রূপাতলী বাস শ্রমিকেরা বাস চলাচল বন্ধ রেখে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সড়ক অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রুপাতলী মিনিবাস টার্মিনালের সামনে সুরভি চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকেরা। এতে বরিশাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি রুটে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। গ্রেপ্তারকৃত দুই পরিবহন শ্রমিক হলেন- সাউথ বেঙ্গল পরিবহনের হেলপার মো. ফিরোজ মুন্সী ও এমকে পরিবহনের সুপারভাইজার আবুল বাশার রনি। এরা দুজনেই রুপাতলী এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার রাতে এদের দুজনকেই একটি বাসের মধ্যে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল ১৬ই ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাস শ্রমিক রফিক কর্তৃক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও ছুরিকাঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও ঢাকা-পটুয়াখালী সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিযুক্ত রফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তারই জের ধরে গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের মেসে ঢুকে হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা। এতে ১৩ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে ঐ দিন শিক্ষার্থীরা তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ ৩ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করেন।
পরবর্তীতে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ ঘটিকায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে হামলার মদদদাতা হিসেবে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মনির মোল্লা এবং শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন এবং মানিক এই তিন জনের নাম প্রকাশ করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।