নিয়মিত ‘অফিস করেন’ পলাতক আসামি

দখিনের সময় ডেস্ক:

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত লাখ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৮ মার্চ জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক) ভূমি ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা দপ্তরের অফিস সহকারী মো. মোস্তফা কামাল শাহীন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। গুরুতর এই মামলার পরও কর্মজীবনে প্রভাব পড়েনি মোস্তফা কামালের। জাগৃকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত অফিস করছেন তিনি।

শুধু তা-ই নয়, দুদকের মামলায় আদালত অফিস সহকারী মো. মোস্তফা কামাল শাহীন ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন নেন গত এপ্রিল মাসে। কিন্তু জামিনের সেই মেয়াদ শেষ হয়ে ৩ মাস কেটে গেলেও আর আদালত চত্বর মাড়াননি তিনি। জামিন না নিয়েই দিব্যি অফিস করে যাচ্ছেন ওই অফিস সহকারী। সোমবার(২৯ আগস্ট) দুপুরেও জাগৃকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, কাজ করছেন মোস্তফা কামাল। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুদকের মামলার নথি হাতে পেলেও রহস্যজনক কারণে জাগৃকের কর্মকর্তারা বলছেন, এ বিষয়ে কোনো তথ্য তাদের কাছে কাছে। উল্লেখ্য, জানিন না নেয়ায় অফিস সহকারী মো. মোস্তফা কামাল শাহীন আইনত পলাতক। কিন্তু বাস্তবে তিন প্রকাশ্যেই আছেন।

স্বল্প আয়ের মানুষের মানসম্মত আবাসন নিশ্চিতে কাজ করে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসন নয়, নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত। তাদের এ ধরনের অপকর্মে বেহাত হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি।

অভিযোগ রয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতির একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে জাগৃকে। এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিরুদ্ধে যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা যৎসামান্য; অনেকটাই লোকদেখানো। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ, ঘুষ লেনদেন, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগের প্রমাণ থাকলেও সিন্ডিকেটের সদস্যদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন জাগৃকের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।