দখিনের সময় ডেস্ক:
স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের দুই বিভাগ খুলনা ও বরিশালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ শুরু হলো আজ। পিরোজপুরের কচা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে এর সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি নদীর দুই পাড়ের সাথে যুক্ত হয়ে সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় সেতুর দুই পাড়ে উপস্থিত ছিলেন হাজারে নেতাকর্মী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সারা দেশের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য চার লেনের রাস্তাও নির্মাণ করা হচ্ছে।
দক্ষিণাঞ্চল সব সময় অবহেলিত ছিলো উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিল্পায়ন ও ব্যবসা বাড়াতে দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, আধুনিক পরিবহনের অংশ হিসেবে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এগুলো নির্মাণ শেষ হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেগবান হবে। তিন দিনের ভারত সফরের যাওয়ার একদিন আগে চীনের অর্থায়নে নিজের মায়ের নামের সেতুটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চীনকে পরম বন্ধু বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আবারো জানান, ২০০১ সালে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির একটি গোপন চুক্তিতে সই করেননি বলে ক্ষমতায় যেতে পারেননি।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া সংকট মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলোর কৃচ্ছতা সাধনের নানা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকেও বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় মানুষের সাথে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন তিনি।
সেতুটি উদ্বোধনের পর দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের এক নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খুলনার মোংলা ও পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের সাথেও সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হলো। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সেতু নির্মাণ শুরু হয়। ৯৯৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ১৩ দশমিক ৪০ মিটার প্রস্থের সেতুটির ১০টি পিয়ার ও ৯টি স্প্যান আছে, যা নির্মাণে ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।