দখিনের সময় ডেস্ক:
‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খোদা আমাকে এমপি বানিয়েছে, আপনারা না। কথা সত্য না মিথ্যা? আমাকে আপনারা ভোট দেন নাই, আমি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে আসি নাই।’ ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর ) বিকেলে নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালিয়াপাড়া বাজারে ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যদিও সেদিন সম্মেলনে উপস্থিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এমপি তুহিন অভিযোগ করেছেন, একটি কুচক্রী মহল এডিট করে ভিডিওটি ফেসবুকে ছেড়েছে। আসলে এমন কোনো বক্তব্য এমপি তুহিন দেননি।
ভিডিওতে এমপি তুহিনকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি যা বলবো, প্রশ্ন করবো, জবাব আপনাদের দিতে হবে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি খোদা আমাকে এমপি বানিয়েছে, আপনারা না। কথা সত্য না মিথ্যা? পেছনের মানুষ কী বোবা? আমি প্রত্যেকটা মানুষের জবাব চাই।’
আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের বলেন, খোদা যখন আমাকে এমপি বানালো তখন আমার সাথে যিনি (সাবেক এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম) ছিলেন, তিনি আমার সমপর্যায়ের মানুষ ছিলেন না। তিনি অনেক বড় মানুষ ছিলেন। উনি দেখতে সুন্দর, আমার চেয়ে দুই, তিন, পাঁচ, ছয় ইঞ্চি লম্বা ছিলেন। মানুষ কি তখন ভেবেছিল জেনারেল সাহেবের হঠাৎ করে বিদায় হবে? আর তুহিনের হঠাৎ করে নান্দাইলে আগমন হবে, আপনারা চান নাই। এমনও মানুষ আছে আমাকে আপনারা চিনতেন না। রাজনীতির বাইরের মানুষ আমাকে জীবনে দেখেন নাই, কথা ঠিক না বেঠিক?
এমপি তুহিন আরও বলেন, নান্দাইলের মানুষ অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল, যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। নান্দাইলের আলেম সমাজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারতো না। ভোর রাতে ফজরের আজানের সময় মসজিদে আজান দিতে পারতো না নর্তকির নাচের আওয়াজে। তখন মানুষ কষ্ট পেত। ঠিক তেমনি এক মুহূর্তে খোদা তাকে (মেজর জেনারেল আব্দুস সালাম) জব্দ করলেন, আমার মতো তুচ্ছ মানুষকে এমপি বানালেন।
অন্যদিকে ভাইরাল হওয়া বক্তব্যটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন এমপি তুহিন। তিনি বলেন, ‘আসল কথা বাদ দিয়ে শুধু এটুকু রেখেছে। ঘটনা হচ্ছে এলাকায় আমার একটি প্রতিপক্ষ আছে। না হলে এই ভিডিও কেন আমার ছেলেরা মোবাইলে ছাড়বে?’