আলম রায়হান ॥
ডাক্তার গাজী আহসান উল্লাহ মারা গেছেন গত ১৯ জুলাই। কিন্তু তার স্বাক্ষরেই ‘দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস’ নামের ডায়াগনস্টিক সেন্টার রোগীদের প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট দিয়ে আসছিলো। একটি সূত্র জানিয়েছে, বরিশালের অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিভিন্ন টেস্টের রিপোর্ট দেবার ক্ষেত্রে অনুপস্থিত ডাক্তারের স্বাক্ষরে রিপোর্ট দিয়ে থাকে।
বরিশাল নগরিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্রে ৪/৫ জন ডাক্তারের স্বাক্ষর করা ব্লাংক ফরম সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত প্যাথলজিস্ট ডা. আবদুর রহিম বেশ আলোচিত। এ বিষয়টি নগরীতে ওপেন সিক্রেট ব্যাপার হলেও ডা. আবদুর রহিম এবং তাঁর স্বাক্ষর ব্যবহারকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে।
মৃত ডাক্তারের স্বাক্ষরে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট দেবার ঘটনায় বরিশাল জেলা প্রশাসন, র্যাব-৮ ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ২২ জুলাই সন্ধ্যায় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ‘দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস’ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয়। উল্লেখ্য, ডাক্তার গাজী আহসান উল্লাহর মৃত্যুর আগে ৩ মাস ঢাকায় অবস্থানকালেও তাঁরা স্বাক্ষরে এমন জাল জালিয়াতি করা হয়েছে। আর এই জালিয়াতি ‘বরিশাল দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিস’ নামের প্রতারণার কেন্দ্রসহ আরো কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করছে বলে জানাগেছে। আর এসব সেন্টার থেকে নিয়মিত কমিশন পেতেন ডাক্তার গাজী আহসান উল্লাহ। যা তিনি মৃত্যু সজ্জায় থেকেও পেয়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
রোগীদের সঙ্গে প্রতারনার কেন্দ্র নগরীর জর্ডান রোডের ‘দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস’-এ অভিযানকালে চিকিৎসকসহ দুই মালিককে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- চিকিৎসক নুরে আলম সরোয়ার সৈকত, মালিক একে চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন মিলন। সাজাপ্রাপ্ত চিকিৎসক সৈকত তার নামের সাথে বিভিন্ন ভুয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে ‘দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস’ নামের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। এ প্রতারণার অভিযোগে বরিশাল এ ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে সীলগালা করা হয়েছে। এ সময় এক ডাক্তার ও দুই মালিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
# চিকিৎসার নামে প্রতারনার শিকার ভুক্তভোগীর অভিযোগ এবং যেকোন তথ্য প্রদানের জন্য ই-মেইল: dokhinersomoy@gmail.com ফোন: 01931 847020, 01711 02 99 74 (রিপোর্ট করার জন্য)