দখিনের সময় রিপোর্ট ॥
চরমোনাই মাহফিল ময়দানে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লীদের ঢল নেমেছে। বৃহষ্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকে মুসল্লীদের কাফেলা ছুটতে থাকে চরমোনাইমুখী। লক্ষ্য, শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মাহফিল ময়দানে লাখো মুসল্লীর সঙ্গে একত্রে জুমার নামাজ অদায় করা। ধারনা করা হচ্ছে, মাহফিল ময়দানে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লীদের ঢল শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
মুসল্লীদের সঙ্গে আলাপ করে জানাগেছে, অনেকে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজ আদায় শেষে শহরে ফিরবেন। কিন্তু বেশিরভাগই মাহফিল ময়দানে থেকে যাবেন। তবে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামীকাল শনিবার আখেরী মোনাজাতে অংশ নেয়া। এদিকে অনেকে আবার আখেরী মোনাজাতে অংশ নেবার জন্য শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে অথবা শনিবার ফজরের নামাজের সময় মাহফিল ময়দানে অবস্থান নেবেন। কেউ আবার আখেরী মোনাজাতে শরিক হবেন আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে। এক্ষেত্রে কারো ভরসা হচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম মাহফিলে বয়ান করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার চরমোনাই দরবার শরীফের তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল শুরু হয়েছে। গত (২৪ ফেব্রুয়ারি) বুধবার বাদ জোহর চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের সূচনা করেন। এর আগেই পীর অনুসারী লাখো মুসল্লি চরমোনাইয়ের মাহফিল প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। আগামীকাল শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
বিশেষভাবে উল্লেখ্য, চরমোনইতে বছরে দুটি মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ফাল্গুন মাসের মাহফিলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সকলস্তরের নেতাকর্মী এবং পীর অনুসারীরা মাহফিলে অংশ নেওয়ায় দলটির রাজনৈতিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ফাল্গুন মাসের বার্ষিক মাহফিল থেকেই। ফলে চরমোনাইর মাহফিলের পরলৌকিক গুরুত্বের পাশাপাশি রাজনৈতিক গুরুত্বও অসীম।