দখিনের সময় ডেক্স:
সুন্দরী এমা মাত্র ৩১ বছর বয়সেই মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় মাদক পাচারকারী গোষ্ঠী ‘সিনালোয়া কার্টেল’-এর সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছেন। অবশ্য এর পেছনে হাত রয়েছে তার স্বামী মাদক সম্রাট এল চাপো গুজম্যানের। অভিযোগ, স্বামী জেলে থাকার পুরোটা সময় মাদক সাম্রাজ্য একা হাতে চালিয়েছেন এমা।
মাদক ও অর্থ পাচারের দায়ে ৬৩ বছর বয়সী গুজম্যান বর্তমানে নিউইয়র্কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জব্দ করা হয়েছে তার ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বিপুল সম্পদ। মাদক সম্রাট হওয়ার পথে মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই ধর্ষণ এবং প্রতিযোগিদের ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা শুরু করেন গুজম্যান। ২০০৭ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় এমার দিকে নজর পড়ে তার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বয়সী গুজম্যানের। পরে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। সংসারে দুটি যমজ সন্তান রয়েছে এ দম্পতির।
সুন্দরী এমা শুধু গুজম্যানের সংসারেই নয়, ব্যবসাতেও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন। তিনি ২০১৫ সালে মেক্সিকোর কারাগার থেকে স্বামীকে পালাতে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মেক্সিকোর সর্বাধিক সুরক্ষিত কারাগার আলতিপ্লানো থেকে পালিয়েছিলেন গুজম্যান। তার ছেলে কারাগারের পাশে একটি জায়গা কিনেছিল এবং কারাগার থেকে চুরি করা একটি জিপিএস ঘড়ির মাধ্যমে টানেল খননকারীরা গুজম্যানের প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে। বিশেষভাবে তৈরি একটি মোটরসাইকেলে করে টানেল দিয়ে কারাগার থেকে পালিয়ে যান গুজম্যান। আর এই ঘটনায় বড় ভূমিকা ছিল স্ত্রী এমার। তিনিই কার্টেলের সদস্যদের কাছে গুজম্যানের বার্তা পৌঁছাতেন এবং পরিস্থিতিবিশেষ প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতেন।
২০১৮ সালে নিউইয়র্কে স্বামীর বিচারের শুনানিতে প্রতিটা দিনই আদালতে হাজির হয়েছেন এমা করোনেল। চোখে সানগ্লাস আর মুখে চুয়িংগাম থাকা এ রমণী সহজেই দৃষ্টি কাড়তেন সবার। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও স্বাচ্ছন্দ্য অংশগ্রহণ ছিল তার।
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় এমা করোনেলকে। বলা হচ্ছে, তিনি জেনেশুনেই হেরোইন, কোকেন, মারিজুয়ানা ও মেথামফেটামাইন পাচার করেছেন। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্ম নেওয়া এমা বড় হয়েছেন মেক্সিকোর ক্যানেলাস গ্রামে।