পটুয়াখালীর মেয়র মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মাকসুদুর রহমান তালুকদারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কাউন্সিলর মোঃ ফারুক হোসেনসহ মেয়রের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হত্যার বিচার দাবী করেছেন স্বজনরা।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী পৌরসভার সুতাখালী খাল দেখতে যান এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তখন খাল রক্ষার দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেন প্রতিবাদী এক বৃদ্ধ। এতে চেয়ারম্যানের সামনেই ওই বৃদ্ধকে হুমকি দেন পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ। মেয়রের বিপক্ষে অবস্থায় নেওয়ায় ওই বৃদ্ধের এক আত্মীয়কে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে।
একটি ভিডিওতে এ চিত্র দেখা গেছে। ওই ঘটনার পরে প্রতিবাদী বৃদ্ধের লাশ পাওয়া যায় খালের পারের শ্মশানের ভেতর। ওই বৃদ্ধের নাম মাকসুদুর রহমান তালুকদার। তিনি নিজেকে পৌর শহরের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা বলে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে পরিচয় দিয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, শ্মশানে দাহ করার স্লাবের নিচে বৃদ্ধের মরদেহ পড়ে ছিল। দাহ করার জন্য রাখা কাঠ শরীরের ওপর ছিটানো ছিল। পরে কয়েকজন তাঁকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার পর স্থানীয়রা তাঁর মরদেহ দাফন করে। পরিবারের অনেক সদস্য তখন অনুপস্থিত ছিলেন। মাসুদুর রহমানের মেয়ে মাকসুদা আক্তার মিশু বলেন, ‘বাবাকে মেয়রের নির্দেশে খুন করা হয়েছে। ’ পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নাসির নামের একজনকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়েছে।
মৃত মাকসুদুর রহমান তালুকদারের ভাইয়ের ছেলে মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী পটুয়াখালীতে নদী ও খাল দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে শ্মশান ঘাট এলাকায় পরিদর্শন করতে গেলে তার সাথে পৌর মেয়র মহিউদ্দিনসহ কাউন্সিলর এবং মেয়রের অন্যান্য লোক উপস্থিত ছিলেন। ঐ সময় জমির মালিক তার চাচা মাকসুদুর রহমান তালুকদার ও সে উপস্থিত হয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর কাছে মেয়রের বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র মহিউদ্দিন তাকে ধাক্কা দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তাকে পুলিশ দ্বারা হাতকড়া দিয়ে আটকে রেখে মেয়রের নির্দেশে কাউন্সিলর ফারুক হোসেন, মেয়রের পিএস এনামুলসহ অন্যারা সুযোগ বুঝে মাকসুদুর রহমান তালুকদারকে ফাঁকা স্থানে নিয়ে হত্যা করে লাশ পোরানো ঘরের স্লাবের নিচে ঢুকিয়ে রাখে। তার চাচার পরিকল্পিত হত্যার বিচার দাবী করেছেন মোঃ নাসির উদ্দিন তালুকদার।
এদিকে মেয়েরের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ এনামুল হক বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। তিনি বলেন, আমাদের ফাঁসানোর ন্য এ কথা বলা হচ্ছে । ওখানে কথা কাটাকাটি হয়ছি কিন্তু তাকে আমরা মারধর করিনি। পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা অযৌক্তিক অভিযোগ। ওখানে আমরা সরকারি কাজে গেছি। হত্যা অভিযোগ থাকলে ময়নাতদন্ত ছাড়া কেন লাশ দাফন করা হয়েছে?
মাকসুদুর রহমানের মৃত্যুর ব্যাপারে ওসি বলেন, শুরুতে কেউ অভিযোগ দেয়নি। দাফন করার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে এসেছিল। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, মাকসুদুর রহমানকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
প্রায় দুই দশক আগে এসটিভি ইউএস নামে একটি টেলিভিশন আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতো বাংলাদেশ থেকে। এতে মুখোমুখি নামে একটি টকশো...
দখিনের সময় ডেস্ক:
কলেজে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষককে পেটানো বহিষ্কৃত এ ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সাফাতুন নুর...
প্রায় দুই দশক আগে এসটিভি ইউএস নামে একটি টেলিভিশন আমেরিকা থেকে সম্প্রচারিত হতো। কিন্তু কার্যক্রম পরিচালিত হতো বাংলাদেশ থেকে। এতে মুখোমুখি নামে একটি টকশো...
দখিনের সময় ডেস্ক:
কলেজে অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শিক্ষককে পেটানো বহিষ্কৃত এ ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সাফাতুন নুর...