ইউপি চেয়ারম্যানের ধর্ষণে গৃহকর্মী অন্তসত্তা, মা ও সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা

দখিনের সময় ডেস্ক:

গাজীপুরে এক গৃহকর্মীর সন্তানের পিতৃ পরিচয়ে দাবিতে মা ও সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে তাদের কোনাবাড়ি সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়।  ঢাকার সিআইডি’র ল্যাবরেটরিতে তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়।

ওই নারীর অভিযোগ, কাপাসিয়া সদর থানার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেনের ধর্ষণে তিনি অন্তস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে সন্তান প্রসব করেন। এক পর্যায়ে সন্তানের পিতৃ পরিচয় শনাক্তের দাবিতে গাজীপুরের আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয় গাজীপুর পিবিআইকে।

এদিকে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জানান, ওই নারী তার গৃহকর্মী ছিল। তার দাবি,  ভিকটিমের গর্ভে যে সন্তান এসেছে সেটা তার স্বামী রইজ উদ্দিন রোহিতের। রাজনৈতিকসহ নানা কারণে পূর্ব বিরোধের জের ধরে একটি চক্র তার বিরুদ্ধে দরিদ্র ভিকটিম পরিবারকে ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র করছে। তিনিও শিশুর পিতৃ পরিচয় চূড়ান্ত করতে অন্যদের ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানান।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান জানান, পিতৃ পরিচয় চূড়ান্ত করতে চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার মৈলানকান্দা গ্রামের রইজ উদ্দিন রোহিতের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। তবে রইজ উদ্দিনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চেষ্টা চলছে। দিন তারিখ নির্ধারণ না হলেও অচিরেই ইউপি চেয়ারম্যানের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে।

ইন্সপেক্টর হাফিজুর রহমান জানান, এরই মধ্যে ওই নারী ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে সরকারি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম এবং ভিকটিম, তার সন্তান, অভিযুক্ত ও সন্দেহভাজনের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হচ্ছে।