দখিনের সময় ডেক্স:
পোশাক বলছে, তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদমর্যাদার কর্মকর্তা। কোমরে বেল্ট। মাথায় ফিল্ড ক্যাপ। মোটরসাইকেলের সামনের স্টিকারে লেখা ‘পুলিশ।’ তার সঙ্গের আছেন একজন ‘সাংবাদিক।’ কিন্তু দুজনই ভুয়া! তারা একটি প্রতারকচক্রের সদস্য। ফন্দি করে পুলিশ ও সাংবাদিক সেজে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিতেন কাড়ি কাড়ি টাকা। চক্রটির মূলহোতার রাজধানীতে রয়েছে বিলাশবহুল আলিশান ফ্ল্যাট।
এ চক্রের সদস্যরা রাজধানীর রামপুরা এলাকার বনশ্রীর একটি ফ্ল্যাটে আস্তানা গড়ে তোলে। মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভনে ওই বাসায় নিয়ে যেতেন তারা। পরে মেয়েদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ছবি তুলতেন। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চক্রের অপর সদস্যরা হানা দিতেন সেখানে। আপত্তিকর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে শুরু হতো দেনদরবার। ভিকটিমদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। ওই টাকায় চক্রের অন্যতম হোতা বদিউজ্জামান শাহীন বনশ্রীতে কিনেছেন আলিশান ফ্ল্যাট।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ২০১৫ সাল থেকে চক্রের সদস্যরা এই অপকর্ম চালিয়ে আসছিল। তাদের প্রত্যেকের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। শাহীন, মিজান, সোহেল এর আগেও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। জেল থেকে বেরিয়ে ফের একই অপকর্মে জড়াতেন তারা।
তবে প্রতারক চক্রের শেষ রক্ষা হলো হয়নি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জালে আটকা পড়েছে এমন প্রতারকচক্রের ৬ সদস্য। এর মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এসব তথ্য। রাজধানীর খিলগাঁও থানার দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. বদিউজ্জামান শাহীন (৪০), মিজানুর রহমান (৪৫), মো. ফয়সাল আহম্মেদ (২৩), কামরুজ্জামান সোহেল (৩২), মো. সাইফুল ইসলাম ইমরান (৩১) ও বীথি আক্তার সোমা (২৬)কে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় পুলিশের পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।