স্টাফ রিপোর্টার:
ঋণপ্রাপ্তিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারাই অবহেলিত হচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ছোট উদ্যোক্তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে অনেক ক্ষেত্রেই নয়-ছয় হিসাব দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। অনেক সময় বিভিন্ন খাতে বিতরণকৃত ঋণ ক্ষুদ্রঋণ হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই ঋণ পাচ্ছেন না প্রকৃত উদ্যোক্তারা।
ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউনে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকার গত বছরের এপ্রিলে কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যাংকগুলো এ খাতে ঋণ বিতরণ করেছে ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬২ শতাংশ। অথচ বড় গ্রাহকদের ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অনেক আগেই পূরণ করেছে ব্যাংকগুলো। সময় পেরোলেও ছোট উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার অর্থ পেতে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে তাদের ঋণবঞ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর অনীহাকেই বড় করে দেখছেন তারা। অন্যদিকে ব্যাংকারদের ভাষ্য, কঠিন শর্ত ও ছোট ঋণ বিতরণের নীতিমালায় বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার কারণেই ছোট উদ্যোক্তাদের অর্থ পেতে ভোগান্তি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন- সিএমএসএমই খাত হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইন। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ২৫ শতাংশই আসে এ খাত থেকে। এমনকি শিল্পখাতে যত কর্মসংস্থান হয়, তার ৮৬ শতাংশই সিএমএসএমই খাতের। প্রতি মাসেই এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন হয়, কর্মীদের মজুরি বাবদ ব্যয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। কাজেই সিএমএসএমই খাত যত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে, ততই এর গুণক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।