“স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে গ্লোবাল ল’ থিংকার্স সোসাইটি (GLTS) ‘র পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের ১৫০ জন রিকশা চালকের জন্য মাস্ক এবং দুপুরের খাবার বিতরন করা হয়। ২৬ -মার্চ (শুক্রবার) ‘গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি’ স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই মহতী উদ্যোগ নেয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ কে কেন্দ্র করে ‘জিএলটিএস’ নানামুখী কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে দেশে এ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জিএলটিএস -এর জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ‘মাহিন মেহরাব অনিক’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমের পিআর লিডার, ‘জান্নাতুল ইসলাম ইমন’ এবং ‘ফারদিন আহসান ইশমাম’ এক্সিকিউটিভ মেম্বার, পাওয়ার টিম এর নেতৃত্বে বরগুনার ‘জিএলটিএস’ কমিটির সদস্যরা একত্রিত হয়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
‘গ্লোবাল ল’ থিংকার্স’ সোসাইটির জয়েন্ট অর্গানাইজিং সেক্রেটারি, ‘মাহিন মেহরাব অনিক’ এক বার্তায় বলেন, ‘জিএলটিএস’ কাজ করে যাচ্ছে মানব জাতির সেবায় এবং এই সেবা অব্যাহত রাখবে ভবিষ্যৎ দিনগুলোতেও। তিনি আরো বলেন আমরা যারা সচ্ছল আছি তাদের প্রত্যেকেরই উচিত সমাজের পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তিনি মনে করেন এমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ সমাজের ভেদাভেদ দূর করবে, বাড়াবে আন্তরিকতা এবং এর মাধ্যমে সৌহার্দের প্রতীক স্থাপিত হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমের পিআর লিডার, ‘জান্নাতুল ইসলাম ইমন’ বলেন, আমাদের বর্তমানের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর বার্তা প্রেরণ করবে। আমরা আমাদের কাজের মাধ্যমে সৌহার্দ্য এবং মানবসেবার বার্তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। উল্ল্যেখ্য কিছুদিন আগে বরগুনায় জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, লেখাপড়ার সামগ্রী বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা অবস্থায় শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করেই এমন জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ‘জিএলটিএস’ পরিবার। অনুষ্ঠানে শিশুদের সাথে সরাসরি কথা বলে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তাদের আনন্দমুখর পরিবেশ উপহার দেওয়া হয়।
এ দিকে তরুণদের এমন উৎসাহ,উদ্দীপনাময় ও উদ্যমী কাজ দেখে সমাজের রাজনীতিবিদ এবং সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা মনে করছে ঝিমিয়ে পড়া তরুণেরা আবার জেগে উঠেছে। সারাক্ষণ নেশা এবং মোবাইলের মধ্যে ডুবে না থেকে সমাজের জন্য কাজ করে যাওয়ার মাধ্যমে তরুণরা নিজেদের মেধার বিকাশ ঘটাচ্ছে। তারা আরো বলেন তরুণদের সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ভালো কাজের মাধ্যমে সুপরিচিত হবে। কারণ এদেশের ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠী ৪০ এর নিচে অবস্থান করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে ‘জিএলটিএস’ এর মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তরুণদের নিয়ে ভাবতে হবে। যাতে তরুণরা তাদের সময় কে ভালো কাজে ব্যয় করতে পারে ও শক্তিশালী জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হতে পারে।