Home নির্বাচিত খবর আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ইমন জেলেও আছেন রাজকীয় হালে

আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ইমন জেলেও আছেন রাজকীয় হালে

দখিনের সময় ডেস্ক:
আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডনরা বিলাসী জীবনযাপন করেন। ঘটনাচক্রে জেলে গেলেও তাদের জীবনযাপনের ধারায় কোন বিঘ্ন ঘটেনা। যা আবার প্রমান করলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের একসময়ের ডন সানজিদুল ইসলাম ইমন।  চিকিৎসক দম্পতির সন্তান রাজধানীর এই শীর্ষসন্ত্রাসীকে ২০০০ সালে পুলিশের একটি বিশেষ টিমকে ভারত থেকে নিয়ে আসে। সেই থেকেই তিনি জেলে আছেন। কিন্তু জেলে কেমন আছেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন ইমন?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে, আদালতে ইমনের হাজিরা দেয়ার দৃশ্যপট থেকে। ১৩ নভেম্বর, সকাল ৯টা ২০ মিনিট। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ। আইনজীবী, পুলিশ, বিচারপ্রার্থীসহ সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। এমন সময় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) লেখা সাদা রঙের একটি পুলিশ ভ্যানকে অনুসরণ করে আদালত প্রাঙ্গণে এসে থামে মাঝারি সাইজের একটি প্রিজনভ্যান; বডিতে লেখা ‘পুলিশ’-ইঞ্জিন নম্বর ৬২৪৯৩২’। মুহূর্তেই চারপাশের কোলাহল থেমে যায়। নেমে আসে নীরবতা।
ওয়াকিটকি হাতে অন্য গাড়িগুলো থামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে পুলিশ সদস্যরা। নীল রঙের প্রিজনভ্যান থেকে রাজসিক ভঙ্গিতে নেমে আসেন সুঠামদেহী ফর্সা এক ব্যক্তি। ক্লিনসেভড। হাতে স্বর্ণবর্ণা বহুমূল্য ঘড়ি। পরনে কালো জিন্স প্যান্ট, গায়ে কালো শার্টের ওপর সাদা চেক; পায়ে সাদা কেডস। তার ডান হাত চেপে ধরে পাশে দাঁড়ানো পরিদর্শক পদমর্যাদার এক পুলিশ সদস্যের হাত; অন্য হাতে আধা লিটারের বোতলজাত পানি। তাদের ঘিরে হাঁটছেন আরও দুই পুলিশ সদস্য। সুঠামদেহী ফর্সা লোকটির চালচলনে মনে হওয়া স্বাভাবিক যে উনি বুঝি পুলিশেরই ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা। হয়তো পেশাগত প্রয়োজনে গোপনীয়তা রক্ষায় প্রিজনভ্যানে চেপে এসেছেন।
মোটেও তা নয়। তিনি এ মহানগরীর আন্ডারওয়ার্ল্ডের একসময়ের ডন। তিনি শীর্ষসন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন। চিকিৎসক দম্পতির এই সন্তানকে ধরতে দুই হাজার সালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ টিমকে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে ওপার বাংলায় পাঠানো হয়েছিল।
ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা এই শীর্ষসন্ত্রাসী সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব) আজিজ আহমেদের ভাই সাঈদ আহমেদ টিপু, জাতীয় পার্টির কর্মী মাহমুদ হাসান পলাশ ও চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাসহ দুই ডজনেরও বেশি হত্যা ও অস্ত্র মামলার আসামি। কিন্তু আদালতে উপস্থিত ইমনের চালচলনে মনে হয়েছে, কারাগারে বেশ সুখেই আছেন তিনি। বেশভূষায় ধনাঢ্য ভাব আর বিলাসিতার চাকচিক্য দেখে বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়, তার চোখের সামান্য ইশারায় একসময় লাশ পড়ত ঢাকায়। যদিও কালের পরিক্রমায় তিনি এখন কারাবন্দি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments