দখিনের সময় ডেস্ক
কাতার বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর ম্যাচে জাপানকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এ জয়ে আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল ক্রোয়েটরা। যেখানে জাপানের ৩টি শট ঠেকিয়ে নায়ক বনে যান ক্রোয়েশিয়ান গোলরক্ষক দোমিনিক লিভাকোভিচ। এর আগে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও যোগ করা সময় শেষে ১-১ গোলে সমতা থাকার পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো গোল হয়নি। ফলে এই আসরে প্রথমবারের মতো খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
টাইব্রেকারে জাপানের প্রথম দুটি শটই রুখে দেন লিভাকোভিচ। শট দুটি করেন তাকুমি মিনামিনো ও কাউরো মিতোমা। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার প্রথম দুটি শট থেকে গোল আদায় করেন নেন নিকোলা ভ্লাসিচ ও মার্সেলো ব্রোজোভিচ। জাপানের তৃতীয় শটে গোল আদায় করেন নেন তাকুমা আসানো। তবে ক্রোয়েটদের মার্কো লিভাজা নিজেদের তৃতীয় পোস্টে মারলে স্বপ্ন জাগে জাপানের। কিন্তু জাপানের মায়া ইয়োশিদার চতুর্থ শট ফের রুখে দেন লিভাকোভিচ। আর ক্রোয়েশিয়ার হয়ে মারিও পাসালিচ চতুর্থ শটে গোল করলে জয়ের আনন্দে ভাসে গত বিশ্বকাপের রানার্সআপরা।
সোমবার আল জনুব স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। তবে প্রথমার্ধে চমৎকার ফুটবল খেলে এগিয়ে গেল জাপান। যদিও ব্যবধান ধরে রাখতে পারল না তারা। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ে ফিরল ক্রোয়েশিয়া।এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো জাপান। ওয়াতারু এনদোর ক্রসে ছয় গজ বক্সের মুখে ডিফেন্ডার শোগো তানিগুচির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। তবে প্রতিপক্ষের ভুলে নবম মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার সামনে সুযোগ আসে। জাপানের ডিফেন্ডার তাকেহিরো তোমিইয়াসু বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান ইভান পেরিসিচ। বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া শট গোলরক্ষক শুইচি গোন্দা ঠেকিয়ে দেন।
ম্যাচের ১৩তম মিনিটে আরও একটি সুযোগ পায় জাপান। ডান দিক থেকে বক্সে দারুণ বল বাড়ান জুনিয়া ইতো। ছুটে গিয়ে স্লাইডে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ফরোয়ার্ড দাইজেন মায়েদা। অবশেষে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে দাইজেন মায়েদার গোলে এগিয়ে যায় জাপান। কর্নার থেকে দোয়ান ক্রস করেন। সেখান থেকে ইয়োশিদা হেড করলে বল পান মায়েদা। পরে শট করে গোলে পরিণত করেন মায়েদা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অবশ্য ব্যবধান কমায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৫৫তম মিনিটে লোভরেনের ক্রসে জোরাল হেডে গোল করেন ইভান পেরিসিচ। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ে দুদল আরও কিছু চেষ্টা চালালেও কোনো গোল হয়নি। পরে রেফারি অতিরিক্ত সময়ে খেলার বাঁশি বাজান।