Home লাইফস্টাইল গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে নিয়মিত চেকআপ

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে নিয়মিত চেকআপ

দখিনের সময় ডেস্ক:
সারা বিশ্বেই ডায়াবেটিস মহামারি আকারে বাড়ছে। গর্ভবতী নারীরা এর বাইরে নয়। ১২-১৫ শতাংশ নারী গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে ডায়াবেটিস বলে।
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস যদি গর্ভাবস্থায় প্রথম ডায়াগনসিস হয়, তাকে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস মেলিটাস (জিডিএম) বা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস বলে। গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয় হরমোন চেঞ্জের জন্য। প্রেগন্যান্সির হরমোন ডায়াবেটোজেনিক অর্থাৎ এরা রক্তে সুগার বাড়িয়ে দেয়। শরীর মনে করে, এই বাড়তি সুগার বাচ্চার জন্য সাপ্লাই হিসেবে কাজ করবে।
ক্ষতি বা জটিলতা: অনেক ধরনের জটিলতা হতে পারে। মা-বাচ্চা দুজনেরই।
মায়ের : ডায়াবেটিস আনকন্ট্রোলড হয়ে যেতে পারে, প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে, পানি ভেঙে যেতে পারে, ডেলিভারিতে সমস্যা হতে পারে। প্রসব-পরবর্তী রক্তক্ষরণ হতে পারে।
বাচ্চার : জন্মগত ত্রুটি হতে পারে, ম্যাক্রসোমিয়া মানে চার কেজির বেশি ওজনের বাচ্চা হতে পারে, বাচ্চা পেটে মারাও যেতে পারে। ডেলিভারির পর বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে যেতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কিভাবে ডায়াবেটিস নির্ণয় করবেন?
কোনো একটা স্পেসিফিক রোগ ডায়াগনসিস করতে হিস্ট্রি, এক্সামিনেশন, ইনভেস্টিগেশন জরুরি। হিস্ট্রিতে আমরা জানতে চাই, পেশেন্টের নিজের কিংবা পরিবারে মা-বাবা কারো ডায়াবেটিস আছে কি না। আগের প্রেগন্যান্সিতে ডায়াবেটিস ছিল কি না। কোনো বাচ্চা এর আগে গর্ভে মারা গেছে কি না ইত্যাদি। এগুলো হলো রিস্ক ফ্যাক্টর। আরো রিস্ক ফ্যাক্টর আছে, যা থাকলে গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হতে পারে।
করণীয়
রেগুলার অ্যান্টিনেটাল চেকআপে থাকতে হবে। মেডিক্যাল নিউট্রিশন থেরাপি নিতে হবে-অর্থাৎ নিয়ম মেনে খেতে হবে। ইনসুলিন নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর মনিটর করতে হবে। অভিজ্ঞ প্রসূতি বিশেষজ্ঞ দিয়ে উন্নত হাসপাতালে ডেলিভারি করাতে হবে। বাচ্চা ম্যানেজমেন্টের জন্য শিশু বিশেষজ্ঞ থাকতে হবে।
জিডিএম সাধারণত বাচ্চা ডেলিভারি হওয়ার পর থাকে না। তবু ডেলিভারির তিন মাস পর চেক করে দেখতে হয় আছে কি না। কেননা জিডিএম আক্রান্ত রোগীগুলো ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
পরবর্তী বাচ্চা হওয়ার আগে অবশ্যই প্রিকনসেপশনাল কাউন্সেলিং নিতে হবে। আগে ভাগে ফিট থেকে গর্ভধারণ করলে সুস্থ-সুন্দর ও জটিলতাবিহীন প্রেগন্যান্সি, ডেলিভারি পেরিয়ে সুস্থ শিশু পাওয়া সম্ভব।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. ছাবিকুন নাহার
গর্ভবতী, প্রসূতি, স্ত্রী ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: তোফায়েল

দখিনের সময় ডেস্ক: সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে আর কখনোই সংস্কার হবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সদস্য...

Recent Comments