প্রফেসর ফজলুল হকের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

দখিনের সময় ডেস্ক:

শিক্ষাবিদ প্রফেসর এস.এম. ফজলুল হকের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ আসর বরিশাল নগরীরর কলেজ রোস্থ তাঁর পুত্র বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার এবং বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ইমানুল হাকিমের বাসভবনে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, বরিশাল ইসলামিয়া কলেজ’র অধ্যক্ষ কর্মরত থাকালে ১৯৯৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর আকস্মিক ভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর এস.এম. ফজলুল হক। কর্ম জীবনে প্রফেসর এস.এম. ফজলুল হক অক্সফোর্ড খ্যাত ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষক ছিলেন (১৯৫৭-১৯৯৯)। পরে  বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন (১৯৯১-১৯৯৫)। আমৃত্যু তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন।

বরাবর মেধাবী ছাত্র ছিলেন এস.এম. ফজলুল হক। তার স্কুল জীবন কেটেছে গোপালগঞ্জে। এখান থেকে তিনি ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এসময় বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু’র সান্নিধ্যে আসার তাঁর পরম সৌভাগ্য হয়। বঙ্গবন্ধু’র পরামর্শ মতো এস.এম. ফজলুল হক ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ভর্তি হন। এ কলেজে অধ্যয়নকাল তাঁর জীবন দর্শনে গভীর রেখাপাত করে। কলেজের লেখাপড়ার গুনগত মান বিশেষকরে শিক্ষকবৃন্দের আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, পাণ্ডিত্য এবং নৈতিক মূল্যবোধ তাঁর মননে এতটাই প্রভাব ফেলে যে, জীবনের লক্ষ্য তিনি তখনই স্থির করেন। পেশাগত জীবনে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্তের কলেজের শিক্ষক হবেন এই ছিল তাঁর ব্রত।

উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল এস.এম. ফজলুল হক। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন (১৯৫১)। থাকতেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে। পরবর্তীতে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে এমনকি অনেক লোভনীয় চাকরির সুযোগ পেলেও তিনি তাঁর স্বপ্নের কলেজে শিক্ষাকতার পেশাকে বেছে নেন।

রফেসর এস.এম. ফজলুল হক বিএম কলেজে যোগ দেন ১৯৫৭’র গোড়ার দিকে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষাপটে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন সচেতন বাঙালি হিসেবে এস.এম. ফজলুল হক তাঁর ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেমের মন্ত্র, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীকার আন্দোলন সংগ্রামের আদর্শ ছড়িয়ে দেন। ব্যক্তিজীবনে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন প্রফেসর ফজলুল হক।