Home শীর্ষ খবর ধুঁকছে শিল্প খাত, এক বছরে বন্ধ ৪৬৪ কারখানা

ধুঁকছে শিল্প খাত, এক বছরে বন্ধ ৪৬৪ কারখানা

দখিনের সময় ডেস্ক:
দেশের শিল্প খাতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গত এক বছরে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ছোট-বড় ৪৬৪টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছে লাখ লাখ শ্রমিক। শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, সংকট অব্যাহত থাকলে টিকে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়বে।
কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হয় শিল্প খাত। আর ডলার সংকট এই ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া কারখানায় কাজ না থাকায় মাসের পর মাস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা টানতে গিয়েও ব্যাংকঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে অনেক উদ্যোক্তা। এ ধরনের নানামুখী সংকটে পড়েই গত এক বছরে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে পড়ে।
শিল্পপুলিশের তথ্যমতে, খাতভিত্তিক শিল্পকারখানার দিক থেকে গত এক বছরে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে ৫৮টি। একই সময়ে ১৯টি কারখানা বন্ধ হয়েছে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর আওতাধীন। তিনটি কারখানা বন্ধ হয়েছে টেক্সটাইল শিল্পমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর আওতাধীন। এ ছাড়া বেপজার সদস্যভুক্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে আটটি এবং অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ৩৭৬টি।
খুলনায়
অঞ্চলভিত্তিক সবচেয়ে বেশি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে এক সময়ের একসময় শিল্পনগরী হিসেবে খ্যাত খুলনায়। এ অঞ্চলে গেল এক বছরে মোট ১৫১টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে কম বন্ধ হয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। এ অঞ্চলে ৪টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। আশুলিয়া অঞ্চলে গেল এক বছরে মোট ৮৮টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়। এর মধ্যে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানা ১৩টি, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা পাঁচটি এবং অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ৭০টি।
গাজীপুর
গাজীপুর অঞ্চলে মোট বন্ধ হয়েছে ১৩৪টি কারখানা। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানা ২৫টি, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা ৬টি, টেক্সটাইল একটি ও অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ১০২টি।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম অঞ্চলে মোট শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ৬৮টি। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানা ১৫টি, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা চারটি, বেপজার দুটি, অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ৪৭টি।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে গত এক বছরে মোট ১৯টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে তিনটি, বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা চারটি। এ সময়ে টেক্সটাইল বন্ধ হয়েছে দুটি। এ ছাড়া বেপজার ৪টি ও অন্যান্য শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে ছয়টি। এ ছাড়া বন্ধ হওয়া ১৫১টি কারখানার মধ্যে বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত কারখানা দুটি, বেজার দুটি ও অন্যান্য ১৪৭টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments