Home লাইফস্টাইল গ্লুকোমা : চিকিৎসা শুরু করতে হবে দ্রুত

গ্লুকোমা : চিকিৎসা শুরু করতে হবে দ্রুত

দখিনের সময় ডেস্ক:
সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়সের নারী-পুরুষের ২ শতাংশ এ রোগে ভুগে থাকেন। তবে যাঁদের মা-বাবা কিংবা আত্মীয় এই রোগে আক্রান্ত, তাঁদের ক্ষেত্রে চল্লিশের আগেও গ্লুকোমা হতে পারে। আমাদের দেশে বহু লোক গ্লুকোমা রোগে ভুগে নিজের অজান্তেই সারা জীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যান। অথচ এটি কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি নয়।
এ রোগেরও আছে চিকিৎসা। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গ্লুকোমার ক্ষেত্রেই রোগীর পক্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটির কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ বোঝা সম্ভব হয় না।
কারণ এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও অদ্যাবধি চোখের উচ্চচাপই এ রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে চোখের প্রেশার স্বাভাবিক হলেও এ রোগ হতে পারে।
গ্লুকোমা দুই ধরনের হয়—
ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা : এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের গ্লুুকোমা এবং এটিকে ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমাও বলা হয়।
অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা : এটি কম সাধারণ এবং এটি অ্যাকিউট অথবা ক্রনিক অ্যাঙ্গেল ক্লোজার অথবা ন্যারো-অ্যাঙ্গেল গ্লুুকোমা নামেও পরিচিত। এটি সাধারণত ছানি এবং দূরদর্শিতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
লক্ষণ:
♦ সীমান্তবর্তী দৃষ্টি হারিয়ে ফেলা
♦ কম নির্গত আলোর চারপাশে বর্ণবলয় দেখা
♦ দৃষ্টিহীনতা
♦ চোখে লালচে ভাব
♦ একটি চোখের অস্পষ্ট দৃষ্টি (বাচ্চাদের মধ্যে)
♦ চুলকানি ও চোখে ব্যথা
♦ সংকীর্ণ বা ঝাপসা দৃষ্টি
♦ মাথা ব্যথা বা বমি বমি ভাব
চিকিৎসা: রোগটির উপসর্গ বা লক্ষণ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা গেলে খুব সামান্য ওষুধেই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং প্রয়োজনবোধে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপারেশন করাতে হয়।
তবে অপারেশনের ফলে আগে যেটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটি ভালো করা যায় না। ভবিষ্যতে যাতে আর চোখের ক্ষতি না হয় তাতে সাহায্য করবে এই অপারেশন। অন্যদিকে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে পরিণতি হলো অন্ধত্ব।
এখন পর্যন্ত গ্লুকোমা সম্পূর্ণ নিরাময়ে কোনো ট্রিটমেন্ট নেই, তবে যাতে এটির মাত্রা না বেড়ে যায় সেদিকে বিবেচনা করেই বিভিন্ন থেরাপির দ্বারা ব্যাধিকে রোধ করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে চোখের ড্রপ ব্যবহার করা সব থেকে ভালো এবং এটি সারা জীবনের জন্য করে যেতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অনেকেই অপারেশন করাতে পারেন, তাতে অল্প হলেও সুরাহা হয়। অনেকেই লেজার সার্জারির সাহায্য নেন, তাতে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়। লেজার চিকিৎসা ও সার্জারির করার পরও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেমন নিয়মিত স্ক্রিনিং, ছয় মাস অন্তর চোখের পরীক্ষা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদির প্রতি মনোযোগ দেওয়া আবশ্যক।
পরামর্শ দিয়েছেন ডা. শরমীন সোহেলী, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, বসুন্ধরা আই হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঢাকা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

মন খারাপের কথা শোনে ‘মাইন্ডি’

দখিনের সময় ডেস্ক: ‘মাইন্ডি’ নাম অনেকের কাছেই অপরিচিত হলেও, হাজারো তরুণের জন্য হতে পারে আশার আলো। তারা শুধু তরুণদের নিয়েই যে কাজ করেন এমনটি নয়।...

চিয়া সিড কি পেটের মেদ কমাতে পারে?

দখিনের সময় ডেস্ক: চিয়া সিড সুপারফুড হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে যারা পেটের মেদ ঝরাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী হিসেবে...

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার বিএনপির...

বরিশাল ডিসি কম্পাউন্ডে নোটিশ ছাড়াই অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ, বিপাকে ষ্ট্যাম্প বিক্রেতারা

দখিনের সময় ডেস্ক: বরিশাল জেলা প্রশাসন কম্পাউন্ডে থাকা ১০টি অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এসব দোকানে ষ্ট্যাম্প ভেন্ডাররা ষ্ট্যাম্প বিক্রি করতো। এ দোকানগুলো কোর্ট...

Recent Comments