Home বরিশাল রাজনের আগমন: বরিশাল বিএনপিতে নয়া মেরুকরণ

রাজনের আগমন: বরিশাল বিএনপিতে নয়া মেরুকরণ

সানজিদা তুষার:
দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরেছেন এডভোকেট নজরুল ইসলাম খান রাজন। কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে সঙ্গত কারণেই বরিশাল বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর জড়িত হবার আগ্রহ থাকার কথা নয়। এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এরপরও তাঁকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিএনপিতে সৃষ্টি হয়েছে বিশেষ উৎসাহ-উদ্দীপনা। দেখা দিয়েছে নয়া মেরুকরণ। কিন্তু কোন পদে থেকে রাজনীতি করবেন নজরুল ইসলাম খান রাজন? বরিশালে না কেন্দ্রে? এ প্রশ্ন এখন অনেকেরই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান রাজন দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর দেশে ফিরেছেন গত মাসের প্রথম সপ্তাহে। ছাত্র রাজনীতির মধ্যমে গড়ে ওঠা নজরুল ইসমলাম খান রাজন বরিশাল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ২০০০ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। সে সময় সভাপতি ছিলন বরিশাল বিএনপির প্রাণপুরুষ মজিবুর রহমান সরোয়ার। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য জনাব রাজন যখন আমেরিকা যান তখন তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল বিভাগের তিন জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন। এর পদ তিনি লাভ করেন ২০০৮ সালের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় মুখ নজরুল ইসলাম খান রাজন সাংগঠনিক দক্ষতায় বরিশাল বিএনপিতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। মনে করা হয় এটি তার জন্য মরন বিপদ ডেকে আনে। ২০১২ সালের ৯ মে ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহর  নেতৃত্বে ভোলায় সাংগঠনিক অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে কাউয়ারচর ফেরিতে তাঁকে হত্যার জন্য দুর্বৃৃত্তরা হামলা চালায়। মৃত ভেবে হামলা কারিরা তাকে ফেলে চলে যায়। মধ্যযোগীয় স্টাইলে এই হামলার শিকার হয়েও ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। কিন্তু দীর্ঘ চিকিসৎসার পরও অসুস্থ্যতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এদিকে তাঁকে সর্বক্ষণ মৃত্যুভয় তাড়া করে ফিরতো। এ অবস্থায় তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যান। এবং একটানা প্রায় অর্ধ যুগ কাটিয়েছেন প্রবাস জীবন।
দৈনিক দখিনের সময়-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, হামলাজনিত অসুস্থ্যতা এখানো পুরো কাটেনি। বিশেষ করে বাম চোখটি এখানো আশংকামুক্ত নয়। মার্চ মাসে একটি জটিল অপারেশন হবার কথা আছে। তারপরে চোখের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে। এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, দেশে থাকার জন্যই এসেছি, চিরকাল তো আর বিদেশে থাকা যায়  না! ২০১২ সালে তাকে হত্যা চেষ্টা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পূর্বের সেই বিষয়টি ভুলে যেতে চাই, ভুলেগেছি।
দলীয়পদপদবী প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে নজরুল ইসলাম খান রাজন বলেন, রাজনীতিতে পদ-পদবী খুব মুখ্য বিষয় নয়। ২০০৮ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে আমাকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান যেখানে যে দায়িত্বে দেবেন তাই আপ্রান পালন করবো। এ ব্যাপারে আমার নিজের কোন চয়েজ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

টিকটকে নিরাপদ রাখবে যে ১০ ফিচার

দখিনের সময় ডেস্ক: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে টিকটক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে টিকটক। যেখানে ‘ফিডস’ নেটওয়ার্কের...

প্রতিদিন খেজুর খাবেন যে কারণে

দখিনের সময় ডেস্ক: আপনার কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুস্বাদু কোনো খাবার প্রয়োজন এবং সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইছেন? এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হতে পারে খেজুর।...

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

Recent Comments