দখিনের সময় ডেস্ক:
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসে এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বরিশাল বিমানবন্দর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রীর প্রেমিক অন্তর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।
মারা যাওয়া কেয়া আক্তার ওরফে রত্না পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ছোট ডাকুয়া গ্রামের বশির মিয়ার মেয়ে। অপর দিকে গ্রেপ্তার অন্তর আলী গাজীপুর সদর উপজেলার হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দুজনেই রহমতপুর কৃষি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও সহপাঠীরা জানান, কেয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন অন্তর আলীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক দিন ধরে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। গতকাল শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অন্তরকে ভিডিও কলে রেখে ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসের নিজ কক্ষে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন কেয়া।
কৃষি ইনস্টিটিউটের ছাত্রীনিবাসের হোস্টেল সুপার জ্যোতিকা পাল বলেন, রাত তিনটার দিকে ছাত্রীনিবাসের অন্য ছাত্রীরা মুঠোফোনে জানান যে কেয়া আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তাৎক্ষণিক ছাত্রীনিবাসে যান এবং বিমানবন্দর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে কক্ষের দরজা ভেঙে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তখন নারী পুলিশ না থাকায় পুলিশ উদ্ধার কার্যক্রম চালায়নি। সকাল আটটার দিকে নারী পুলিশ গিয়ে মরদেহ মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
জ্যোতিকা পাল বলেন, রাতে কেয়া তাঁর কক্ষে একা ছিলেন। প্রেমিক সহপাঠী অন্তর আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে প্রায়ই ঝগড়া–চেঁচামেচি করতেন। এ জন্য তাঁর কক্ষের অপর ছাত্রী পাশের কক্ষে গিয়ে থাকতেন। আজ রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর অন্তর আলীকে শিক্ষকের কক্ষে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি কেয়ার সঙ্গে প্রেম ও মনোমালিন্যের বিষয় স্বীকার করেন।
আজ (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় অন্তরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।