দখিনের সময় ডেস্ক:
উষ্ণ নগর হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঢাকা। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে কয়েক দিন শীত পড়লেও তা আবহাওয়া অধিদপ্তরের মাপকাঠিতে শৈত্যপ্রবাহ নয়। শুধু এই বছর নয়, ২০১৮ সালের পর রাজধানীতে আসেনি কোনো শৈত্যপ্রবাহ।
গত এক যুগে ঢাকায় বায়ুদূষণ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এতে দেশের অন্যান্য স্থানের চেয়ে ঢাকায় সব সময় উষ্ণতা বেশি থাকে। আর এর ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকা নগরী ক্রমেই অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। ঢাকার অদূরে শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। ঢাকার আশপাশের প্রায় সব জেলায় একাধিকবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে থাকা তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১৯৮৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ এসেছে প্রতি দুই বছরে একটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপ্তি ছিল দুই থেকে তিন দিন। অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় গ্রাম থেকে সাড়ে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানী ঢাকা বিশ্বের দ্রুততম বর্ধমান মেগাসিটি। এর বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। স্বাধীনতার পর নগরের আয়তন বাড়লেও ঢাকায় রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো বড় সবুজ এলাকা বা উদ্যান আর তৈরি করা হয়নি।পরিবেশবিজ্ঞানী ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, শহরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে পরিকল্পিত নগরায়ণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এখনই ঢাকা শহরের যতটুকু এলাকায় সবুজ ও জলাভূমি টিকে আছে, তা রক্ষা করতে হবে।