দখিনের সময় ডেস্ক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শেখ হাসিনা হলে গ্যাসের পাইপ লিক হওয়ার ঘটনায় ওই হলসহ অন্যান্য আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাসের গন্ধের তীব্রতায় হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচে এসে জড়ো হন।গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। সেখানে দেখা যায়, গ্যাসের গন্ধের তীব্রতায় শেখ হাসিনা হলসহ পাশের নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচে এসে জড়ো হন। গ্যাস লিকের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের অন্যান্য হল ও বাসা থেকেও শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি হল প্রভোস্ট সাহেদুর রহমানকে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে।এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা হলের হাউজ টিউটর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আল-আমীনকে নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন হলে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরই গ্যাসের মূল লাইন বন্ধ করা হয় । অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘হলে মেয়েদের চিৎকার শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গ্যাস লাইন লিক হয়েছে। আপাতত গ্যাসের লাইনটা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে গ্যাসের লাইন ঠিক করা হবে।’
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারজান আক্তার বলেন, ‘ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই হলের ভেতর মেয়েদের চিৎকার এবং ছুটাছুটিতে আতঙ্কে পড়ে যাই। কি হয়েছে না বুঝলেও দ্রুতই হলের বাইরে বেরিয়ে আসি। গত ৩ দিন আগেও প্রভোস্ট স্যারকে গ্যাসলাইন সমস্যার বিষয় জানানো হলে তিনি বরাবরের মতো আশ্বাস দিয়েছেন।’
প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘গ্যাস লাইনে লিক ছিল। আমরা হলের মেইন লাইন বন্ধ করে দিয়েছি। ফায়ার সার্ভিসের লোকেরাও দেখে গেছে, আপাতত কোনো সমস্যা নাই।’তিনি আরও বলেন, ‘কালকে সকালেই আমরা এই সমস্যার সমাধান করে দেব। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই যে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।’