শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক ॥
চেনা ও অতি পরিচিত বিভাগীয় শহর বরিশাল কঠোর লকডউনে অনেক অপরিচিত। শহরে নীরবতা বিরাজ করছে। নতুন করে সরকার-ঘোষিত আটদিনের বিধি-নিষেধের প্রথম দিনে আজ বৃহস্পতিবার বরিশাল শহরে সর্বত্র কঠোরভাবেই ‘লকডাউন’ পালিত হতে দেখা গেছে।
লকডাউনে বিধি-নিষেধ সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে শহরের প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে তৎপর দেখা গেছে। গতকাল লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ নেই বললেই চলে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, প্রাইভেটকার, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন বড় কোন যানবাহন চোখে পড়েনি। লক্ষ করা গেছে প্রতিটি যানবাহনকে থামিয়ে থামিয়ে কী প্রয়োজনে কোথায় যাচ্ছেন কি নিয়ে তা জানতে চাইছেন পুলিশ সদস্যরা। অপ্রয়োজনে কেউ বাইরে বের হলে তাকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে শহরের চৌমাথা, রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাটসহ শহরের প্রবেশের প্রধান সড়ক কাকলির মোড় দেখা গিয়েছে শুধু মাত্র কয়েকটি পুলিশের টহল ভ্যান, দুই একটি রিক্সা ও অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যারিকেড দিয়ে টহল বসিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের জেরা করতেও দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ম্যাজিস্ট্রেটকেও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গিয়েছে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে। তাছাড়া রমজানের প্রথম দিন হওয়ার কারণে এমনিতেই মানুষ ঘরের বাইরে বের হন একটু কম।
রূপাতলী বাস স্টান্ডে কর্তব্যরত একজন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তারা সকাল থেকেই রাস্তায় টহলে নেমেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কড়া নির্দেশ করোনার সংক্রমণ রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেয়া যাবে না। শুধু তাই নয়, পুলিশের বিশেষ পাস ছাড়া চলাচলে বাধা দিতে বলা হয়েছে।