দখিনের সময় ডেস্ক:
একটা সময় ছিল, যখন ফুটবল বিশ্বে প্রশ্ন উঠত, পেলে-মারাদোনার পাশে কে? সেই প্রশ্নের উত্তরে মেসির আনাগোণা ছিল অনেক দিন ধরেই। সংশয় যা কিছু ছিল, তা হয়তো মেসি ঘুচিয়ে দিয়েছেন ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে অসাধারণ পারফর্ম করে ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। এখন পেলে-মারাদোনার পাশাপাশি তার নাম উচ্চারিত হয় তো বটেই, অনেকের কাছে তিনিই সবাইকে ছাড়িয়ে সর্বকালের সেরা। কনমেবলের এই উদ্যোগকেও বলা যায় মেসির অর্জনের স্বীকৃতি।
প্যারাগুয়ের লুকে শহরে (২৭ মার্চ )কনমেবলের সদর দপ্তরে উন্মোচিত হলো বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে মেসির ভাস্কর্য। কোপা লিবের্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠানের আগে ছিল এই আয়োজন। কনমেবলের সদর দপ্তরে জাদুঘরে আরও দুই কিংবদন্তি পেলে ও দিয়েগো মারাদোনার পাশেই থাকবে মেসির ওই ভাস্কর্য। ভাস্কর্য উন্মোচনের আয়োজনে থেকে আপ্লুত মেসি ফিরে তাকালেন তার গোটা ক্যারিয়ারে। ৩৫ বছর বয়সী মহাতারকা বললেন, জীবন তাকে ভরিয়ে দিয়েছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি প্রাপ্তিতে।
“অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।”