দখিনের সময় ডেস্ক :
জ্যাকি চ্যানকে বলা হয় চীনের বক্স অফিসের রাজা। ফোর্বস ম্যাগাজিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্যাকি চ্যানের সিনেমাগুলো বিশ্বব্যাপী প্রায় ২.৬ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। একই ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, জ্যাকি চ্যান প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। তবে আয় করা এ অর্থগুলো নিজের জন্য নয়, বরং সমাজসেবায় ব্যয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিখ্যাত এ অ্যাকশন হিরো জ্যাকি চ্যান।
১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার মধ্য দিয়েই হলিউডে অ্যাকশন হিরো হিসেবে নিজের যাত্রা শুরু করেন জ্যাকি চ্যান। ২০১২ সালে এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন, উপার্জিত অর্থের অর্ধেক তিনি পরিবারের জন্য ব্যয় করবেন। আর অর্ধেক খরচ করবেন সমাজসেবায়। যদিও এখন জানাচ্ছেন, উপার্জিত অর্থের পুরোটাই সমাজসেবায় দান করবেন তিনি।বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি দানের পেছনে জ্যাকি চ্যানের রয়েছে শৈশবের সংগ্রামের স্মৃতি। বলেছেন, ‘শৈশবে খুব গরীব ছিলাম। এখন সবকিছু দান করে দিতে চাই।’ জ্যাকি চ্যানের সন্তান জেসি চ্যান একজন অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী। সন্তানের জন্য কোনও টাকা রাখছেন না তিনি।
জ্যাকি চ্যান বলেছেন,‘সন্তান যদি যোগ্যতাসম্পন্ন হয়, তবে নিজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবে’। উল্লেখ্য, জ্যাকি চ্যান জনপ্রিয় সিনেমার অন্যতম ‘রাশ আওয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি’। মাত্র ৩৫ মিলিয়ন ডলারে নির্মিত সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ২৪৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল। ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সাথে জ্যাকি চ্যান বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক লাভ করা অভিনেতা ছিলেন। বছরটিতে প্রায় ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন জ্যাকি চ্যান।
সম্পাদনায়: আরাফাত সাকিব