দখিনের সময় ডেস্ক:
পঞ্চান্ন বছর বয়সে পৌছে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন বাউল মনোরঞ্জন দাস। দোতরার সঙ্গে গলা মিলাতে গিয়ে প্রায়ই তিনি জীবন যুদ্ধে খেই হারিয়ে ফেলছেন। কমেগেছে আয়, গান গেয়ে আর চলে না। আর চলছে না সংসার- এটি বেশ টেরপাচ্ছেন গুণী এই শিল্পী। এখন তার একটিই চাওয়া, তাঁর সন্তানের একটি সরকারি চাকরি।
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার রাজনগর গ্রামের মনোরঞ্জন দাস কিশোর বয়সে অজানা এক রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্ধ হয়ে যান। এর পর নিজের অজান্তেই বাউল গানের দিকে ঝুকতে থাকেন অসহায় এই মানুষটি। এক সময় পরিচিতি লাভ করেন বাউল শিল্পী হিসেবে। ক্রমে তাঁর জীবন হয়ে পড়ে দোতারা কেন্দ্রিক।
পৈত্রিক ভিটা ছাড়া বাউল মনোরঞ্জন দাসের অন্য কোন সম্পত্তি নেই। সংসার চলে অন্ধ এই শিল্পীর আয়ে। এদিকে চার সন্তানই আছে পড়াশুনার মধ্যে। এর মধ্যে প্রথম সন্তান শুভ দাস বিএ পাস করেছেন। এখন চাকুরির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পরীক্ষা দিচ্ছেন। পাশাপাশি চোখের আলোহীন বাবাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাবার জন্য প্রধান অবলম্বন।