দখিনের সময় ডেস্ক:
আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য হাড় ভালো রাখা জরুরি। আর হাড়ের সুস্থতার জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। শুধু তাই নয়, ক্যালসিয়াম আমাদের স্নায়ু এবং পেশীর সঠিক কার্যকারিতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার সম্পর্কে জেনে নিন, যা আপনার প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই রাখা উচিত-
দুধ: যখন আমরা ক্যালসিয়াম সম্পর্কে চিন্তা করি, তখন আমাদের মনে প্রথম যে নামটি আসে সেটি হলো দুধ। সহজে হজমযোগ্য এবং শোষণযোগ্য দুধ সেরা উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারগুলোর মধ্যে একটি। শৈশব থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত হাড় তৈরির একটি আশ্চর্যজনক বাহন এটি। এক কাপ দুধে প্রস্তাবিত ১০০০ মিলিগ্রামের ২৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
কমলা: কমলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই জাদুকরী ফল ভিটামিন ডিসহ উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের তালিকায়ও রয়েছে, যা শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি মাঝারি আকারের কমলায় ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
সার্ডিন: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকাভুক্ত সার্ডিন একটি সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছ। আপনি যদি একজন আমিষভোজী হন তবে এটি আপনার প্রয়োজন। এই ছোট নোনতা মাছ পাস্তা এবং সালাদে বাড়তি স্বাদ যোগ করতে পারে।
সয়া মিল্ক: এটি একটি মিথ যে শুধুমাত্র দুগ্ধজাত দ্রব্যে ক্যালসিয়াম থাকে। অ-দুগ্ধজাত পণ্য যেমন ফোর্টিফাইড সয়া দুধ আশ্চর্যজনক উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হতে পারে এবং ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি উভয়ই সরবরাহ করে।
বাদাম: বাদাম উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। উচ্চ প্রোটিন সরবরাহের পাশাপাশি বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও বাদাম আপনার স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য একটি দুর্দান্ত উত্স। প্রতিদিন সকালে এই প্রোটিন সমৃদ্ধ বাদাম খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।
ডুমুর: ফাইবার এবং পটাসিয়ামে ভরপুর এই মিষ্টি ডেজার্টের মতো ফলটি উপভোগ করুন। শুকনো ডুমুরের প্রতি ১ কাপে ২৪২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এই আঠালো ফল হাড়কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল হৃদস্পন্দন স্থির রাখতে এবং পেশীর কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় এটি শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
দই: দই একটি দুগ্ধজাত পণ্য যাতে আমাদের অন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। এক বাটি দইয়ে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। পাশাপাশি এটি প্রোটিনেরও ভালো উৎস। এটি দুধের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।
চিজ: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় আরেকটি সংযোজন হলো পনির। এটি প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। বিভিন্ন ধরণের স্ন্যাকসে এটি ব্যবহার করা যায়। সুস্বাদু পনির আপনার হাড় ভালো রাখতে কাজ করে।
সবুজ শাক-সবজি: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ শাক-সবজিতে ক্যালসিয়ামও থাকে পর্যাপ্ত। পালং শাক, সেলারি এবং ব্রকোলির মতো বেশ কয়েকটি শাক-সবজিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যাবে। সবুজ শাক-সবজিতে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে।