দখিনের সময় ডেস্ক:
কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিল্কভিটা প্রজেক্ট, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কিছু প্রজেক্ট ও উন্নয়নমূলক কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সোয়া তিন কোটি আত্মসাতকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিনব এই প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতের নাম মোজাম্মেল হক চৌধুরী (৪৭)। মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন জিইসি মোড় হতে র্যাব-১ ও র্যাব-৭ এর যৌথ দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. পারভেজ রানা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল হক চৌধুরী একজন ধুরন্ধর প্রতারক। তিনি কখনো নিজেকে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিল্কভিটা প্রজেক্ট, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় কিছু প্রজেক্ট এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এফএল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-এস.আর ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (জেবি)-এর চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল গাফ্ফারের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।
২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর হতে পর্যায়ক্রমে ট্রাস্ট ব্যাংক, মিলিনিয়াম শাখা ও অন্যান্য ব্যাংকের পে-অর্ডারের মাধ্যমে এই টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন লোকজনের নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি অর্থ আত্মসাত করেন। অবশেষে নিরুপায় হয়ে র্যাব-১ এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলে র্যাব-১ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। র্যাব-১ ও র্যাব-৭ এর যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন জিইসি মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। মোজাম্মেল হক চৌধুরী ফেনীর পশুরাম থানার এছাক চৌধুরীর ছেলে। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ তিনটি মোবাইল ফোন ও দুইটি ব্যাগ ও নগদ এক লাখ ৮৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।