দখিনের সময় ডেস্ক:
নোবেল বিজয়ী ডক্টর মো. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটির বেশি টাকা আত্মাসাতের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এই মামলা দায়ের করেন। দুদকের মামলায় অভিযোগ করা হয়, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট করা হয়। শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের সময় অবৈধভাবে আইনজীবী ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কেটে রাখা হয়। শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়। এ ছাড়া কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা পাচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
অনিয়মের নানা অভিযোগে আলোচিত ড. মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান- গ্রামীণ টেলিকম। প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা এসবের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন অনেক দিন ধরে। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে গ্রামীণ টেলিকমের লেনদেনের বেশিরভাগেই অনিয়ম হয়। কর্মীদের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি লভ্যাংশ আত্মসাতের বিষয়ে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, আনুষ্ঠানিক চিঠি দেয় দুদকে। এর ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দীর্ঘ অনুসন্ধানে অর্থ আত্মসাত ও মানি লন্ডারিংয়ের সত্যতা পায় দুদক। যার ভিত্তিতে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে।
এ বিষয়ে দুদকের ভারপ্রাপ্ত সচিব রেজওয়ানুর রহমান জানায়, লভ্যাংশ আত্মসাতের বিষয়ে ডক্টর ইউনুস এবং অন্যদের গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিদেশযাত্রায়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব।