স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী রূপনকে নিয়ে ধুম্রজাল

ফারহান জামান ও আরাফাত সাকিব:

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী কামরুল আহসান রূপনকে নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেরই প্রশ্ন, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালের আলোচিত-সমালোচিত পুত্র রূপন কেন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন? নাম ফাটানো জন্য, নাকি কারো দাবার গুটি হয়েছেন?  তাকে উসহাসদাতা কি বিএনপি?

এ বিষয়ে কামরুল আহসান রূপনের সঙ্গে দৈনিক দখিনের সময়-এর কথা হয় নগরীর কালুশাহ সড়কে তার পৈত্রিক বাড়িতে। এক প্রশ্নে উত্তরে তিনি বলেন, আমাকে বিএনপি উৎসাহও দেয়নি, নিরুৎসাহিতও করেনি।

তিনি বলেন, আমার বাবা বিএনপির নেতা ছিলেন। তিনি পৌর চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র ছিলেন। তার মৃত্যুর পর তাকে যারা ভালোবাসতেন তাদের মতামতেই আমি প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর বিএনপি থেকে আমাকে কোনো নির্দেশনা বা মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হয়নি। তাছাড়া দলে আমার কোনো পদ-পদবি নেই। এজন্যই আমি মনে করি নির্বাচনে অংশ নিতে আমার কোনো বাধা নেই।

আপনি কি ‘নাম ফাটাবার’ জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন? উত্তরে তিনি শান্তভাবে বলেন, নাম ফাটাবার জন্য কেউ প্রার্থী! নির্বাচনে কি ফলাফল আশা করেন- এ প্রশ্নে উত্তরে কামরুল আহসান রূপন দৃঢ়ভাবে বলেন, নির্বাচনে জয়-পরাজয় আছে। কিন্তু তৃতীয় বা চতুর্থ হবার জন্য নির্বাচনে নামিনি। পিতা মেয়র থাকাকালে তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ প্রসঙ্গে কামরুল আহসান রূপন বলেন, এসব রটনা। আমাকে কেউ নগরভবনের আশেপাশেও দেখেনি। আর অটোর লাইসেন্স দেয়া নিয়ে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে তাতো ডাহা মিথ্যা, তখন আমি দেশেই ছিলাম না।

এদিকে কামরুল আহসান রূপনকে নিয়ে বরিশাল বিএনপির মধ্যে অন্য রকম জটিলতা চলছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ১৯ জন বর্তমান ও সাবেক নেতার নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে কামরুল আহসান রূপনের নামও আছে।

তবে এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলছেন, কামরুল আহসান রূপন আমাদের দলের কে? তাকে কোনোদিন বরিশালের রাজনীতির অঙ্গনে কখনো দেখা গেছে? তাকে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথার কোনো কারণ নেই। তা হলে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের তালিকায় রূপনের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন- এ পশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তালিকা আমরা পাঠাইনি। কেন্দ্র করেছে।

অথচ মহানগর বিএনপির সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জাহিদুর রহমান বলেন, আমরা ১৯ জনের একটি তালিকা কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। এর মধ্যে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রূপনের নাম রয়েছে। তিনি আরও বলেন, রূপন বর্তমানে দলের কোনো পদে নেই। তবে তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য ছিলেন বিধায় তার নাম এসেছে।