দখিনের সময় ডেস্ক:
রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে এ পর্যন্ত এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী। রাজশাহীতে ১৫৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৬টিতে এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটন পেয়েছে ২৪ হাজার ৮১৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন পেয়েছেন ১৩৯২ ভোট। অন্যদিকে সিলেটে ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ৪৫টিতে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৫১৯ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ১০ হাজার ৫১৩ ভোট। এই দুই সিটির মধ্যে রাজশাহীতে ভোটার উপস্থিতি ৫০ শতাংশ এবং সিলেটে ৪৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল চারটায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। সকালে কেন্দ্রে ভোটার কম থাকলেও দুপুরের দিকে বাড়ে উপস্থিতি। রাজশাহীতে মেয়র পদে ৪ জন লড়ছেন। এরমধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন ও জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৮ জন। সিলেটে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বি আটজন। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল। এছাড়া কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৫৯ জন।
এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি এবং সিলেটে ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে চারটার ভেতর যেসব ভোটার কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তাদের ভোট নেওয়া হয়। এরপর শুরু হয়েছে ভোট গণনা। সকালে কেন্দ্রে ভোটার কম থাকলেও দুপুরের দিকে বাড়ে উপস্থিতি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সিলেটে ১৯০টি কেন্দ্রের সবকটিতেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। রাজশাহীর ১৫৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ সিসি ক্যামেরা বসায় নির্বাচন কমিশন।
আগের তিন সিটি ভোটের মতোই এই দুই সিটি নির্বাচনেও নেই বিএনপির কোনো প্রার্থী। বরিশালে দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ এনে আগেই এই দুই সিটি ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় ইসলামী আন্দোলন। এর আগের তিনটি সিটি ভোটেই বড় কোনো গোলযোগ হয়নি। ভোট ছিল বেশ শান্তিপূর্ন। এর মধ্যে একটিতে স্বতন্ত্র এবং বাকি দুটিতে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আগেরগুলোর ধারাবাহিকতায় এই দুই সিটিতেও শান্তিপূর্ন ভোট হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।