দখিনের সময় ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার(২২ জুন) বহু সংখ্যক বিক্ষোভকারী হোয়াইট হাউসের কাছে জড়ো হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেন ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর অজিত সাহি। তিনি বলেছেন, ‘মোদির চিন্তা করা উচিত কেন প্রেস ব্রিফিংয়ে তাকে প্রথম প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। এটা সবার কাছে স্পষ্ট যে ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে।’
ভারতীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে হিন্দুত্ব ওয়াচ নামে একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রাকিব হামিদ নায়েক বলেছেন, ‘মোদির মন্তব্য (তার সরকারের অধীনে কোনো ধর্মীয় বৈষম্য নেই) সম্পূর্ণ মিথ্যা। ভারত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য একটি কালো গহ্বরে পরিণত হয়েছে।’
২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে নরেন্দ্র মোদি পাঁচবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক মর্যাদার সাথে এই সফরটিই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে মোদির প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। যদিও মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির অধীনে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে উদ্বেগ রয়েছে।
ওয়াশিংটন দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা করছে। কারণ চীনকে মোকাবিলায় ভারতকে পাশে রাখা প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের। তবে মানবাধিকার কর্মীরা উদ্বিগ্ন যে, ভূরাজনীতির হিসেব-নিকেশে হয়তো ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো চাপা পড়ে যাবে। আর এ কারণে বেশ কয়েকটি মার্কিন মানবাধিকার গোষ্ঠী আগেই মোদির সফরের সময় বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিল।