দখিনের সময় ডেস্ক:
শনিবার সন্ধ্যায় হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বেলারুশে চলে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন সেটা পরিষ্কার নয়। প্রিগোশিন যে বেলারুশে চলে যাবেন এই খবর শুধুমাত্র ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের মুখ থেকেই শোনা গেছে।
ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনকে শনিবার(২৪ জুন) সন্ধ্যায় তাকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। তিনি একটি গাড়িতে ছিলেন। এসময় তিনি উৎফুল্ল কিছু লোকজনের সঙ্গে করমর্দন করছিলেন। এর পর প্রিগোশিনের কাছ থেকে এখনও কিছু শোনা যায়নি। তাকে কোথাও দেখাও যায়নি। তার টেলিগ্রাম চ্যানেলেও এবিষয়ে নতুন কিছু পোস্ট করা হয়নি। এদিকে ওয়াগনার সৈন্যরা রাশিয়ার রোস্তভ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে
তাহলে প্রিগোশিনের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? সমঝোতা যে প্রিগোশিনের পক্ষে গেছে তা বলা যাবে না। কারণ ক্রেমলিনের কথা যদি সত্য হয়, তাহলে এর অর্থ হচ্ছে- তাকে বেলারুশে নির্বাসনে পাঠানো হচ্ছে। রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বর্তমানে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। ওই এলাকাটিকে নো-ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার মানে রোস্তভ শহরের সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর হচ্ছে ভলগোগ্রাদ এবং সচি। কিন্তু এই দুটো বিমানবন্দরই প্রায় ২৫০ মাইল দূরে। প্রিগোশিন গাড়িতে কিম্বা ট্রেনে করে বেলারুশে যেতে পারেন। কিন্তু সেই পথ হবে অনেক দীর্ঘ, কারণ তাকে ইউক্রেনের বাইরে দিয়ে যেতে হবে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে এই বিদ্রোহের পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন কী করবেন? বলাবাহুল্য, অবশ্যই তিনি তার শক্তি প্রদর্শন করবেন যা তিনি আগেও করেছেন। এই ঘটনার পর রাশিয়ার ভেতরে অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতা খর্ব হতে পারে। টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ সংবাদমাধ্যমের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আরোপেরও আশঙ্কা রয়েছে।