দখিনের সময় ডেস্ক:
সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিদ্রোহের শুরুতে তারা এই শহরের সামরিক ঘাঁটিগুলো দখল করে নিয়েছিল। এক পর্যায়ে তারা রোস্তভ ও মস্কোর মধ্যবর্তী একটি শহর ভরোনেঝও দখল করে নেয়। এখন এই অঞ্চলের গভর্নর জানাচ্ছেন, ওয়াগনার বাহিনী সেখান থেকেও চলে যাচ্ছে।
এই ওয়াগনার যোদ্ধাদের ভবিষ্যৎ কী? সেটাও পরিষ্কার নয়। তারা কী ইউক্রেনে ফিরে যাচ্ছে না কি অন্য কোথাও যাচ্ছে তাও স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রিগোশিন ও তার ওয়াগনার বাহিনীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। জানা কতঅ, পুতিন বিশ্বাসঘাতকতা পছন্দ করেন না। বিশ্বাসঘাতকদের তিনি তীব্রভাবে ঘৃণা করেন।ফলে ক্রেমলিন যে বলছে বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সৈন্যদের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগ প্রত্যাহার করা হবে সেটা বিশ্বাস করাও কঠিন। একই সাথে ক্রেমলিন এবং রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় চাইছে ভাড়াটে এই সৈন্যদেরকে সামরিক বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করে নিতে। সৈন্যরা রুশ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিবে কি না সেটাও পরিষ্কার নয়। তবে যদি সেরকম কিছু হয় তাহলে এই ওয়াগনার বাহিনীরও অবসান ঘটবে।
প্রিগোশিন বেলারুশে কী করবেন তাও স্পষ্ট নয়। কোনো কোনো বিশ্লেষক বলছেন তিনি যদি বেলারুশে চলে যান, এবং তার বাহিনীও তাকে অনুসরণ করে, তাহলে সেখান থেকেও তিনি ইউক্রেনের জন্য নতুন করে হুমকি হয়ে উঠতে পারে। কারণ বেলারুশ থেকে রাজধানী কিয়েভ সবচেয়ে কাছে এবং সেখান থেকে রাশিয়া রাজধানীর ওপর আক্রমণ শানাতে পারে। এরকম অনিশ্চিত ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেও রাশিয়া গতরাতে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।