দখিনের সময় ডেস্ক:
ক্ষমতাসীনদের নীল নকশার অংশ হিসেবে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ফরমায়েশি সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনগণ আদালতের এ রায় প্রত্যাখান করেছে বলেও দাবি মির্জা ফখরুলের। আজ বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রায় পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জরুরি অবস্থার সময় দায়ের করা এ মামলা চলার আইনি কোনো ভিত্তিই ছিল না। এরপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আদালত এ সাজা দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির দাবি আদায়ের চলমান আন্দোলনে ভয় পেয়ে এখন বিরোধী দল দমনে আদালতকে ব্যবহার করছে সরকার। ক্ষমতাসীনরা এবার কোনো ষড়যন্ত্র করেই পার পাবে না। এর আগে আজ বুধবার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলায় এই দম্পতির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেন ঢাকা মহানগর দায়রা ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান। এ ছাড়াও তারেক রহমানকে ৩ কোটি টাকা ও জুবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় বিচারক মো. আছাদুজ্জামান বলেন, ‘তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ তারেকের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে। জুবাইদা রহমান তারেক রহমানকে সহযোগিতা করেছেন, মিথ্যা দাবিকে সত্য প্রমাণের চেষ্টা করেছেন এটাও প্রমাণিত। বুধবার দুপুর সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা ও সিনিয়র বিশেষ জজ মো. আছাদুজ্জামান রায় পড়া শুরু করেন। রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে সতর্ক অবস্থায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা রায় ঘোষণার বিরুদ্ধে সকাল থেকে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এর আগে গত ২৭ জুলাই এ মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। সেদিন রায়ের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন আদালত।
Post Views:
23