ওমানে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আটক,  বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র

দখিনের সময় ডেস্ক:

ওমানের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়েছিলেন সংরক্ষিত আসনের (চট্টগ্রাম) সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। পরে ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেয় দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উল্লেখ্য, খাদিজাতুল আনোয়ার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হন। তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির প্রয়াত সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে। তার বাবা সোনা রফিক হিসেবে চট্টগ্রামে সমধিক পরিচিত।

গত মঙ্গলবার(১ আগস্ট) স্থানীয় হাফফা হাউস মাসকাট হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। মাসকাটের একটি কূটনৈতিক সূত্র গতকাল বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মাসকাটের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, সনি আওয়ামী লীগের ওমান শাখার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ওই হোটেলে একটি রাজনৈতিক বৈঠক করছিলেন। সেখান থেকে  আটক ১৭ জনের মধ্যে ওমান ছাড়া সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশিও ছিলেন।

স্থানীয় পুলিশ খবর পেয়ে সভাটি বন্ধ করে দেয়। সেখান থেকে তাকেসহ কয়েকজন আটক করা হয়। পরে দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস অনানুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার(২ আগস্ট) বলেন, ‌ এ বিষয়ে তার কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না। কোনো এমপি ব্যক্তিবিশেষ যদি যান, ওটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে, সরকারিভাবে কাউকে পাঠাইনি। এটা তো আপনার কাছ থেকে শুনলাম। এগুলো আমরা জানি না। উই ডোন্ট নো।

এদিকে সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য (এমপি) খাদিজাতুল আনোয়ার সনি আটকের ঘটনাকে আজ বৃহস্পতিবার(৩ আগস্ট) বাংলাদেশিদের জন্য বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন। আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।