দখিনের সময় ডেস্ক:
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে উৎসব করতেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন না, তারপরও জন্মদিন হিসেবে কেক কেটে আনন্দ উল্লাস করতেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের সদস্যদের হারিয়ে যেদিন আমাদের চোখের পানি পড়ে, সেদিন মিথ্যা জন্মদিন বানিয়ে তিনি উৎসব করতেন। শুধু আমাদের আঘাত দেওয়ার জন্য তিনি এটা করতেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমি এবং আমার ছোট বোন রেহানা বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশের আরেক মীরজাফর খুনি মোস্তাককে দিয়েই জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুনিদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি এরশাদও জিয়ার পথ ধরে ক্ষমতা দখল করেছিল।’
নতুন ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মা-বাবা- ভাই সব হারিয়েছি। ১৯৮১ সালে এসে এই দেশের মানুষকেই আপনজন হিসেবে পেয়েছি। তাদের মাঝে হারানো মা-বাবা ভাইকে খুঁজে পেয়েছি। আমার তো আর কিছু পাওয়ার নেই।’
‘আমরা এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছি। দরিদ্র্য অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও নতুন ঘর করে দিচ্ছি। আমরা চাই, একটি মানুষও যেন অযত্নে অবহেলায় না থাকে’ , যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এ সময় যারা এই আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জমি উদ্ধার, ঘর তৈরিসহ নানা অসাধ্য আপনারা সাধন করলেন। আমি আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আজ আরও ২২ হাজার ১০১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পেয়েছেন নতুন ঘর। এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হলাে। এ নিয়ে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১টি।
প্রকল্পের তথ্যমতে, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের আওতায় এটি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০২৩ সালের ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের অধীনে প্রথম দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং মুজিববর্ষের সময় তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মধ্য দিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি।