ফুরিয়ে গেছে ইউক্রেনের লড়াই করার ক্ষমতা, সেনারা ক্লান্ত

দখিনের সময় ডেস্ক:

দ্রুত ফুরিয়ে গেছে ইউক্রেনের লড়াই করার ক্ষমতা? এমনটাই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে রাশিয়ার সেনাদের হটিয়ে দিতে চলতি বছরের জুনে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পাল্টা আক্রমণ অভিযান শুরুর আগে ইউক্রেনকে পশ্চিমারা অসংখ্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়। তবে রুশ বাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু দাবি করেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা ক্লান্ত হয়ে এসেছে, তাদের অস্ত্রও ফুরিয়ে এসেছে। বর্তমানে তাদের লড়াই করার ক্ষমতা ‘প্রায় শেষ’ বলে জানিয়েছেন তিনি। একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিমাদের কথিত শক্তিশালী অস্ত্রের আসল রূপ প্রকাশ পেয়ে গেছে। আর পশ্চিমাদের অস্ত্রের এসব দুর্বলতার তথ্য রাশিয়া খুব শিগগিরই প্রকাশ করবে। এ ব্যাপারে সোইগু বলেছেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানে, পশ্চিমাদের অস্ত্রের কথিত শ্রেষ্ঠত্বের অসংখ্য অতিকথার আসল তথ্য ফাঁস হয়েছে। যুদ্ধের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর যুদ্ধ করার ক্ষমতা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।’

 ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ নির্দেশের পর প্রায় লাখ খানেক সেনা ইউক্রেনে প্রবেশ করে। তারা কয়েকদিনের মধ্যে পুরো ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ অংশ দখল করে নেয়। এসব দখলকৃত অঞ্চল থেকেই পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তা নিয়ে এ বছরের জুনে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি।