Home লাইফস্টাইল বসের বিশ্বাস জয় করবেন যেভাবে

বসের বিশ্বাস জয় করবেন যেভাবে

দখিনের সময় ডেস্ক:
অফিসে একটি সুন্দর পরিবেশ কে না চায়? আমরা সবাই চাই বসদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বোঝাপড়ার সম্পর্ক থাকুক। এটা যে কেবল ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে তা নয়, বরং মানসিক শান্তিরও একটি বিষয় আছে। বসের বিশ্বাস জয় করতে পারাটা জরুরি। আপনি যদি এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকেন তাহলে কী করবেন? আপনাকে এমন কিছু কাজ করতে হবে যেগুলো আপনার বসের বিশ্বাস অর্জনে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার ৫টি করণীয় সম্পর্কে-
সামঞ্জস্যপূর্ণ ফলাফল: আপনার বসের আস্থা জয়ের ভিত্তি হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে উচ্চ-মানের ফলাফল দেওয়া। স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন, প্রত্যাশা বুঝুন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সক্রিয় হন। আপনার প্রকল্প এবং কাজগুলো সম্পন্ন করে প্রয়োজনে অতিরিক্ত উদ্যোগ নিতে পারেন। নিজের কাজের প্রতি একাগ্রতা ধরে রেখে ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য অর্জন বা অতিক্রম করলে বসরা এটি পছন্দ করেন।
কার্যকরী কমিউনিকেশন: বসের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক সুন্দর করার অন্যতম প্রধান উপায় হলো উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ যোগাযোগ স্থাপন করা। যা আপনার বসের সঙ্গে বিশ্বাস গড়ে তোলার চাবিকাঠি। আপনার অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্য সম্পর্কে তাকে অবহিত রাখুন। আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত ইমেল, মিটিং বা কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপডেট প্রদান করতে হবে। মনোযোগ দিয়ে তার প্রতিক্রিয়া শুনুন। সততা এবং স্পষ্ট যোগাযোগ ভুল বোঝাবুঝি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হিসেবেও প্রকাশ করে।
চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন: বর্তমান গতিশীল কাজের পরিবেশের দিকে তাকালে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা যায়। নতুন চ্যালেঞ্জকে আলিঙ্গন করতে শিখুন এবং আপনার বসকে দেখান যে আপনি বিভিন্ন কাজ এবং চ্যালেঞ্জ পরিচালনা করতে পারেন। আপনার কমফোর্ট জোনের বাইরে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করুন এবং দ্রুত শেখার চেষ্টা করুন। সবকিছুর ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হলে এবং পরিবর্তনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখলে আপনার বস আপনাকে দলের একটি সম্পদ হিসেবে দেখবেন।
সহযোগিতাশীল হোন: একটি উৎপাদনশীল কর্মক্ষেত্রের জন্য সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইতিবাচক হন। তার কাজে সাহায্য করুন এবং স্বেচ্ছায় আপনার দক্ষতা শেয়ার করুন। গ্রুপ প্রকল্পে কাজ করার সময় গঠনমূলকভাবে অবদান রাখুন, বিভিন্ন মতামতকে সম্মান করুন এবং এমন সমাধান খুঁজুন যা পুরো দলকে উপকৃত করবে।
উদ্যোগ এবং সমস্যা সমাধান: সমস্যা চিহ্নিত করা এবং সমাধান করার যোগ্যতা থাকলে তা আপনার নেতৃত্বের সম্ভাবনা প্রকাশ করে। শুধুমাত্র সমস্যাগুলো তুলে ধরার পরিবর্তে, সুচিন্তিত সমাধানের প্রস্তাবও করুন। এই সক্রিয় পদ্ধতি আপনার সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রকাশ করবে। এভাবে এগোতে থাকলে আপনি একজন অপরিহার্য কর্মী হয়ে উঠবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

পরীমণি প্রথম স্বামীর পরদিন মারাগেলো প্রথম পরিচালক

দখিনের সময় ডেস্ক: লাইফ সাপোর্টে থেকেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’-এর পরিচালক শাহ আলম মণ্ডল।  গুলশানের...

বাউফলে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

নয়ন সিকদার, বাউফল প্রতিনিধি পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর বিরুদ্ধে অনিয়ম,দুনীতি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈশোম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। গতকাল...

নিজের চেয়ার ঠিক রাখতেই ব্যস্ত পুলিশ কর্মকর্তারা

দখিনের সময় ডেস্ক: জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে গণহত্যার জন্য একক বাহিনী হিসেবে পুলিশকে দায়ী করা হয়। মানুষের ক্ষোভের আগুনে পুড়েছে বাহিনীটির শতশত থানা, যানবাহন। জীবন গেছে...

সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে কখনোই সংস্কার হবে না: তোফায়েল

দখিনের সময় ডেস্ক: সংস্কারের আগে নির্বাচন করলে আর কখনোই সংস্কার হবে না। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন সদস্য...

Recent Comments