Home বিশেষ প্রতিবেদন কলেজছাত্রী মুনিয়া ছিলো পারিবারিক প্রতারনার টোপ?

কলেজছাত্রী মুনিয়া ছিলো পারিবারিক প্রতারনার টোপ?

আলম রায়হান:

সুন্দরী কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া কী পারিবারিক প্রতারনার টোপ ছিলো? টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হবার লাঞ্চনায়ই কী এই তরুনী আত্মহত্যা করেছে? এই সব প্রশ্ন দ্রুত সামনে চলে এসেছে। উল্লখ্য, পরিবারের সম্মতিতেই কলেজছাত্রী মুনিয়া গুলশানের বিলাসবহুল ফ্লাটে থাকতো।

গত ১ মার্চ মুনিয়া ওই ফ্ল্যাটে উঠেছে। সব মিলে ১ লাখ ১১ হাজার টাকার ভাড়ার চুক্তি হয়েছিল বাড়িওয়ালার সঙ্গে। মুনিয়ার বোন এবং ভগ্নিপতি ব্যাংকার হওয়ায় বাড়িওয়ালী ভাড়া দিতে রাজি হয়েছিলেন। এই বোন ও ভগ্নিপতিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসল রহস্য বেরিয়ে যেতে পারে, এ আভিমত কুমিল্লার এক টেভিশন সাংবাদিকের।

কুমিল্লার অই টেলিভিশন সাংবাদিক জানিয়েছেন, কুমিল্লার কয়েকটি পরিবার আছে যারা পরিবারের সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে ব্লাকমেলিং-এর ফাঁদ পাতে। এমনই এক ফাঁদে পড়ে বরিশালের তাসকিন নামে এক কলেজ ছাত্র এখন কুমিল্লা কারাগারে আছে। এই সাংবাদিক মনে করেন, পরিবারে টাকা কামাই করার  প্রতারণার ফাঁদের টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিলো মুনিয়া। এক পর্যায়ে বিষয়টি টেরপেয়ে হয়তো পরিবারের উপর অভিমান করেই আত্মহত্যা করেছে এই কলেজ ছাত্রী।

এদিকে গুলশানের যে ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে ছয়টি ডায়েরি পাওয়া গেছে। এ কথা জানিয়েছে পুলিশ। বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  সায়েম সোবহান আনভীরের ‘প্ররোচনায়’ এই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন অভিযোগ করে তার পরিবার ইতিমধ্যে থানায় মামলা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ওই তরুণীর মৃহদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে তার মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের আলামত উদ্ধারের সাথে ছয়টি ডায়েরি পাওয়া গেছে। এসব ডায়েরিতে কী লিখা আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে।’পরিবারের মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। আর ওই বাসায় আনভীরের যাতায়াত ছিল।

সোমবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর ১২০ নম্বর রোডের ওই ফ্ল্যাট থেকে মুনিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রাত দেড়টার দিকে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই তরুণীর বোন নুসরাত জাহান। মুনিয়া ঢাকার একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়; পরিবার সেখানেই থাকে। আর মনিয়া  ঢাকায় একাই থাকতেন গুলশানের ওই বিশাল ফ্ল্যাটে।

এদিকে বসুন্ধরা এমডি যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানানপুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ। তিনি বলেন, ওই ফ্ল্যাটে তরুণী একা থাকার কথা বলা হলেও কে কে আসা যাওয়ার মধ্যে থাকত, সে জন্য ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডায়েরির সাথে সেগুলো যাচাই চলছে। মুনিয়ার মৃত্যু কী আত্মহত্যা, তা নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর গ্রেফতার

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। নিউমার্কেট থানার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবিগঞ্জে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীম...

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা: ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

দখিনের সময় ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। সাময়িক...

Recent Comments