দখিনের সময় ডেক্স:
করোনায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ হাজার ৩০৫ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৯৫৫ জন। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জনে। আজ বুধবার (২৮শে এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ২০৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ
দিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন আরও ১৪ হাজার ৮২১ জন এবং নতুন করে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৮২২ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হলো ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৮১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৯৩ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৮ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৮২ হাজার ১৩৭ জন।
রোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৯১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ১ হাজার ১৬৫ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৪৪ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪১ জন সংক্রমিত হয়েছেন আর মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩২৪ জনের।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কোনো দেশে নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল।দুই মাস পরে গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।