দখিনের সময় ডেস্ক:
এই সময়ের বহুল আলোচিত চরিত্র প্রিগোজিন বেঁচে আছেন বলে নতুন করে খবর চাউর হয়েছে। দেশ ও বিদেশের বেশ কিছু সঙবাদমাধ্যম এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিনের একটি ভিডিওকে এ জন্য প্রামাণ্য মানা হচ্ছে। যদিও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান নিশ্চিত করেছে, মৃত্যুর কিছুদিন আগেই ভিডিওটি ধারণ করা।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে আশ্বস্ত করতে শোনা যাচ্ছে যে, তিনি সুস্থ আছেন। তবে একই সঙ্গে তিনি তাঁর প্রাণনাশের হুমকির বিষয়েও অবহিত করেন। আফ্রিকায় ধারণ করা এ ভিডিও পুরোনো। ওই ভিডিওতে প্রিগোজিন বলছেন, আমি বেঁচে আছি, না মরে গেছি কিংবা কেমন আছি-এ নিয়ে যারা কথা বলছেন, তাদের সবার জন্য এ বার্তা। এটি ২০২৩ সালের মধ্য আগস্টের একটি ছুটির দিন। আমি আফ্রিকায় আছি।’ ওয়াগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোনে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। অবশ্য গার্ডিয়ান ওই ভিডিও কোথায় ও কখন ধারণ করা, সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে ভিডিওটি চলন্ত গাড়ি থেকে ধারণ করা হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
এই পর্যন্ত পাঠের পর প্রিগোজিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে একটা ধন্ধ তবু থেকে যায়। প্রিগোজিন বলছেন, তিনি আফ্রিকায় এবং সময়টি মধ্য আগস্টের কোনো একটি ছুটির দিন। অর্থাৎ, এটি ১৫ আগস্টের পর যেকোনো ছুটির দিন (রোববার) হতে পারে। রুশ দাবি অনুযায়ী, প্রিগোজিন ২৫ আগস্ট (শুক্রবার) উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মারা গেছেন। দেখা যাক ওয়াগনার কী বলছে? তারা বলছে, কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে। তাঁর প্রেস সার্ভিসের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এ তথ্য জানান হয়।
২৫ আগস্ট রাশিয়ার মস্কোর কাছে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিনসহ ১০ জন নিহত হন। যদিও তখনই তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়নি। পরে রোববার ডিএনএ পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রিগোজিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে মস্কো। ওয়াগনার প্রেস সার্ভিস টেলিগ্রাম বিবৃতিতে শেষকৃত্য সম্পর্কে আরও বলা হয়, পারিবারিকভাবে সমাহিত করা হয়েছে প্রিগোজিনকে। তবে এ নিয়ে আর কোনো তথ্য দেয়নি তারা। রুশ স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, কড়া নিরাপত্তায় মঙ্গলবার বিকেলে প্রিগোজিনকে সমাহিত করা হয়। এতে অংশ নেন ৩০ জন।
Post Views:
47