দখিনের সময় ডেস্ক:
দূরদূরান্ত থেকে আসা ক্রেতারা বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কিনতে এসে দেখি এখানকার ইলিশ একেবারেই কম। ফলে অন্য জায়গা থেকে আসা ইলিশ কিনে নিতে হচ্ছে। অনেক দূর থেকে আসছি তাই খালি হাতে ফিরে যেতে চাই না। তবে দাম অনেক বেশি। তবে স্থানীয় অনেক ক্রেতা মাছ না কিনে খালি হাতে ফিরে গেছেন। মাছের দাম চড়া থাকায় ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেক কম ছিল।
স্থানীয় ক্রেতা ওসমান বলেন, ঘাটে প্রচুর মাছ আছে। কিন্তু মাছের দাম অনেক বেশি তাই ইলিশ না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। ক্রেতা রাজিব জানান, আমি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগাচর থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি চাঁদপুরের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। ইলিশ ব্যবসায়ী নুর নবী জানান, চাঁদপুরের ইলিশ অনেক স্বাদ, দামও বেশি। বাইরে থেকে আসা ইলিশের দাম চাঁদপুরের ইলিশের তুলনায় কম। প্রতি কেজি প্রায় ২০০ থেকে আড়াইশো টাকার ব্যবধান। দূরদূরান্ত থেকে যে সকল ক্রেতারা আসে তারা চাঁদপুরের ইলিশ চেনেনা। তারা কম দামে ইলিশ কেই চাঁদপুরের ইলিশ মনে করে।
চাঁদপুর ফিসের মালিক মাসুদ রানা জানান, এখন ক্রেতা কম মাছের দাম একটু বেশি। কারণ তেলের দামের উপর মাছের দাম নির্ভর করে। গত মৌসুমে তেলের দাম কম থাকায় মাছের দামও কম ছিল। এবার তেলের দাম বেশি হওয়ায় দাম বেড়েছে। জেলেরা প্রতিদিন রোট, ট্রলারে তেল পুড়িয়ে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু তারা প্রতিদিন তো মাছ পায় না। তেলের দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি। যাবতীয় খরচ দিয়ে যে মাছ পান তা বিক্রি করে তাদের লাভ হয় না। যার কারণে মাছের দাম বেশি হয়। সব মিলে জেলে ও ব্যবসায়ীদের তেমন লাভ হয় না।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শবেবরাত সরকার বলেন, দিন দিন মাছের উৎপাদন কমছে। সামনে মা ইলিশের অভিযান শুরু হবে। সবমিলে সামনের এক মাস যদি ভরপুর ইলিশ না থাকে তাহলে আমাদের লোকসানে পড়তে হবে। প্রতিবছর যদি এভাবে মাছ কমে যায় তাহলে আমাদের ব্যবসা চালানো কঠিন।