দখিনের সময় ডেস্ক:
চট্টগ্রামে এক কলেজশিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। ২০১১ সালের জুলাইয়ে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ওসি মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ নাসের চৌধুরী বলেন, ‘২০১১ সালের ১২ জুলাই নগরীর ফয়’স লেক এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে তুলে নিয়ে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার তৎকালীন ওসি মিজানুর রহমান। এরপর ছেলে বন্ধুকে মারধর করে মেয়েটিকে নগরীর চকবাজারে একটি হোটেলে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান তিনি। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবার করা মামলায় একই বছরের ১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা হলো।’
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যা মামলার সাক্ষী অবসরপ্রাপ্ত কমডোর গোলাম রাব্বানী হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অশোক কুমার দাশ জানান, সাবেক নৌ-কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৪ এপ্রিল মারা যান। এই হত্যা মামলায় ২০০৪ সালের ২৮ আগস্ট সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০৫ সালের ৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল রায়ে আসামি সাইফুল ইসলাম ওরফে বিলাই সাইফুল ও মনছুর আলমকে বেকসুর খালাস দেয়। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে খালাস পাওয়া আসামি মো. সাইফুল ইসলামের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে নতুন করে রায় দিতে বিচারিক আদালতে নথি ফেরত পাঠানো হয়েছিল। সেই মামলায় এবার যাবজ্জীবন সাজা হলো সাইফুলের। রায় ঘোষণা শেষে উভয় আসামিকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
Post Views:
76