দখিনের সময় ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিচ্ছন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্য অর্জনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। অধিকন্তু, সবার জন্য দূষণমুক্ত ও নিরাপদ বিশ্ব বিনির্মাণে পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ‘অত্যাধুনিক এই মেগা প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করবে ও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে আমাদের আরো একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন শেষ হলো। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য গৌরবের এবং সম্মানের।’
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠান’ বাংলাদেশের পারমাণবিক শক্তির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী মাইলফলক। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের মাধ্যমে প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পদার্পণ করেছে। বাংলাদেশ এখন অভিজাত নিউক্লিয়ার এনার্জি ক্লাবের সদস্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার। সে লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে আওয়ামী লীগ সরকার একটি বিস্তৃত পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে আমরা পারমাণবিক শক্তির মতো বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সে লক্ষ্যেই আমরা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি, যা আমাদের জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। বন্ধুপ্রতীম রাশিয়ার সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আজ সফলতার দ্বারপ্রান্তে। এক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করেছি।’