Home জাতীয় বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব: প্রধানমন্ত্রী

দখিনের সময় ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল রুটে বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছে। এই সুযোগ ও সুবিধা কাজে লাগাতে দেশের সকল বিমানবন্দরকে আধুনিক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তৃতীয় টার্মিনালে সফট ওপেনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শনিবার এ কথা বলেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ভৌগলিক অবস্থার কারণে একসময় বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব।
এর আগে আজ শনিবার সকাল ১০টার কিছু সময় পর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনস্থলে প্রধানমন্ত্রী শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং কথা বলেন। পরে তিনি পুরো টার্মিনাল ঘুরে দেখেন। প্রধানমন্ত্রী লাগেজ চেকিং করান, বোর্ডিং পাস নেন এবং সাধারণ যাত্রী মতো করে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হন। পরে তিনি প্রি বোর্ডিং সিকিউরিটি স্ক্যান করান এবং বোর্ডিং ব্রিজে যান। তৃতীয় টার্মিনালে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের করিডোরে ঢুকলেই বুকিং কাউন্টার। এখান থেকে লাগেজ বুকিং করে যাত্রীরা যাবেন ইমিগ্রেশনে। পরে বডি স্ক্যানার আর অটোমেটিক লাগেজ চেক করা হবে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান বলেন, ‘এই করিডোর পার হওয়ার জন্য যাত্রীরা স্ট্রেইট এসকেলেটর ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। নান্দনিক লাউঞ্জ, লিফট, আধুনিক বোর্ডিং ব্রিজ দিয়েই ফ্লাইটে উঠে যাবেন যাত্রীরা। অত্যাধুনিক বডি স্ক্যানার, লাগেজ চেকিং মেশিনসহ সবই আছে। বিশ্বের অন্যান্য বিমানবন্দরের সকল সুবিধাই পাবেন যাত্রীরা। আশা করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা।’
২০১৭ সালের অক্টোবরে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প পাস করা হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায়। ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায় নতুন এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এর মধ্যে জাপানের সহায়তা ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরের স্থপতি রুহানি বাহরিনের নকশায় নির্মাণ করা হয় এই টার্মিনাল।
অত্যাধুনিক বোর্ডিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, চেকিং, নান্দনিক লাউঞ্জ, ট্রানজিট সুবিধা, বোর্ডিং ব্রিজ, সুবিশাল করিডোর, স্কেলেটর, লাগেজ বেল্টসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে নতুন টার্মিনালে। তিন বছরেই শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ কাজ। বাকি কাজও শেষ হবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। এ প্রকল্প থেকে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৭ শ কোটি টাকা। যা দিয়ে আরও কিছু অতিরিক্ত কাজ করার পরিকল্পনা করছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, শাহজালাল বিমানবন্দরের পুরনো দুটি টার্মিনালে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার যাত্রী সেবা পাচ্ছেন। সে হিসাবে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা পাচ্ছেন। নতুন এই টার্মিনালের ফলে বছরে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব। এদিকে, এই তৃতীয় টার্মিনাল চালু হওয়ার আগেই বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থা বাংলাদেশের বাজার ধরতে চাচ্ছে। এরইমধ্যে জমাও পড়েছে কিছু আবেদন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

স্মার্টফোনে ইন্টারনেট চলে যাচ্ছে? জেনে নিন গতি বাড়ানোর কৌশল!

দখিনের সময় ডেস্ক: অনেকেই মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় হঠাৎ করেই দেখেন, নেটওয়ার্ক চলে গেছে। আশেপাশের অন্যরা নির্বিঘ্নে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারলেও আপনার ফোনেই সমস্যা...

প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানি পান করলে কী হয়?

দখিনের সময় ডেস্ক: ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ হতে পারে। কঠোর ডায়েট অনুসরণ করা, খাবারের প্রতি লোভ নিয়ন্ত্রণ করা, প্রতিদিন জিমে যাওয়া, কঠোর ওয়ার্কআউট করা...

ডিভোর্সের দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: নিন্দুকরা মনে করছে বাংলার মেয়ে গিটার বাদক মোহিনী দে-র জন্যই হয়ত সায়রাকে ছেড়েছেন ভারতের অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের। তবে...

যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্র টোকিও, সেক্স ইন্ডাস্ট্রির জড়িত কিছু চক্র

দখিনের সময় ডেস্ক: যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়...

Recent Comments