Home লাইফস্টাইল যে ৭ কারণে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেয়

যে ৭ কারণে কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেয়

দখিনের সময় ডেস্ক:
আজকের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যোগ্য লোকদের অগ্রাধিকার থাকার কারণে চাকরি ধরে রাখাই অনেক কর্মীর জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। তবুও চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেক কর্মীই অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি করা সত্ত্বেও কর্মীরা চাকরি ছেড়ে দেয়। এর নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. উন্নতি এবং বিকাশের অভাব: কর্মচারীরা এমন পরিবেশে উন্নতি লাভ করে যেখানে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রসারিত করার সুযোগ দেওয়া হয়। যদি কর্মচারীরা স্থবিরতা বা পেশাদার বিকাশের সুযোগের অভাব অনুভব করে, তবে এটি হতে পারে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কারণগুলোর মধ্যে একটি। অগ্রগতি বা শেখার সুযোগ না থাকলে সেই প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগ কর্মীই চাকরি ছেড়ে চলে যেতে পারে।
২. অপর্যাপ্ত সুবিধা: একটি সংস্থা কীভাবে তার কর্মীদের মূল্যায়ন করে তার সবচেয়ে প্রত্যক্ষ প্রতিফলন হলো অফিস থেকে দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। বেতন ছাড়াও কর্মীর প্রচেষ্টার জন্য ন্যায্য মূল্যায়ন প্রাপ্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কর্মীরা দেখতে পান যে তাদের দক্ষতা, প্রচেষ্টা এবং শিল্পের মানদণ্ডের সঙ্গে অফিসের মূল্যায়ন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেক্ষেত্রে তারা চাকরির জন্য অন্য কোথাও বেছে নিতে পারেন।
৩. দুর্বল নেতৃত্ব: প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক কাজের অভিজ্ঞতা গঠনে নেতৃত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অকার্যকর নেতৃত্ব দলের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ এবং নিম্ন মনোবলের সৃষ্টি করতে পারে। কর্মীদের এমন নেতার প্রয়োজন যার মাধ্যমে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা, প্রতিক্রিয়া এবং সমর্থন পাওয়া যায় এবং যারা বিশ্বাস ও সম্মানের পরিবেশ তৈরি করে।
৪. কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য না থাকা: কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য রাখা আসলেই কষ্টকর। অনেকেই এখানে তাল মেলাতে না পেরে পিছিয়ে পড়েন। অফিসে অতিরিক্ত কাজ করতে হলে অনেক সময় ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রভাব পড়ে। দুইদিকে সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। অতিরিক্ত কাজের চাপে অনেকে হিমশিম খান। এর ফলে একটা সময় চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
৫. মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির অমিল: অফিসের সাংগঠনিক সংস্কৃতি কর্মীদের প্রভাবিত করে। যদি কর্মীরা কোম্পানির মূল্যবোধ বা সংস্কৃতির সঙ্গে মতানৈক্য খুঁজে পান, তবে এটি অসন্তোষের কারণ হতে পারে। নিয়োগকর্তা এবং কর্মীদের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর অনেককিছু নির্ভর করে। তাই অফিসে নিজের মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু পেলে অনেক কর্মী চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন।
৬. স্বীকৃতি এবং প্রশংসার অভাব: ভালো কাজের জন্য প্রশংসা প্রত্যাশা করা একটি মৌলিক মানবিক প্রয়োজন যা একজন কর্মীর অনুপ্রেরণা এবং দক্ষতাকে প্রভাবিত করে। উপযুক্ত স্বীকৃতি এবং পুরষ্কার ছাড়া কর্মী নিজেকে অবমূল্যায়িত এবং গুরুত্বহীন বোধ করতে পারে, যার ফলে চাকরির প্রতি সন্তুষ্টি হ্রাস পায় এবং অনেক সময় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়।
৭. চাকরির নিরাপত্তা না থাকা: সাংগঠনিক পুনর্গঠন বা আর্থিক অস্থিতিশীলতার সময়ে কর্মীরা তাদের কাজের নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে পারে। ছাঁটাই করার বিষয়ে অবিরাম উদ্বেগ কাজের প্রতি মনোনিবেশ এবং আনুগত্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে কর্মীরা বিকল্প হিসেবে আরও নিরাপদ চাকরি খুঁজতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গণপিটুনিতে নিহত তোফাজ্জল

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত মাসুদ কামাল তোফাজ্জলের জানাজা শেষে বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে...

অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর গ্রেফতার

দখিনের সময় ডেস্ক: চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে আটক করা হয়। নিউমার্কেট থানার...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ

দখিনের সময় ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম...

মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

দখিনের সময় ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবিগঞ্জে মানহানির একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন । বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল আলীম...

Recent Comments