আলম রায়হান:
এক থেকে চটকরে একানব্বইতে উঠে যাবার মতো বরিশালের রাজনীতির তাওয়া গরম হয়েগেছে! বরিশাল-৫ তথা সদর আসন কেন্দ্রিক নির্বাচনী জনস্রোত এখন নগরীর কালীবাড়ী রোডস্থ সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বাড়ী কেন্দ্রিক। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, জনপ্রতিনিধিসহ সকল স্তরের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে ঐতিহাসিক এই বাড়িটি। অনেকটা কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ভির লেগেই থাকে কালীবাড়ির এ বাড়িতে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বাড়ীমুখি যে জনস্রোত সৃষ্টি হয়েছে তাতে বিশেষ সংযোজন হচ্ছেন প্রবীন রাজনীতিক খান আলতাফ হোসেন ভুলু। ৬২-এর গণআন্দোলনে যারা কারাভোগ করেছেন তাদের মধ্যে খান আলতাফ হোসেন ভুলু অন্যতম। এবং সেই নেতাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র জীবিত। কিংবদন্তীর এই প্রবীন নেতা নতুন প্রজম্মের নেতা সাদিক আবদুল্লাহর পাশে অবস্থান নেয়ায় বরিশালের নির্বাচনী রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
বিশেষভাবে লক্ষনীয়, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বাড়ীতে যারা যাচ্ছেন তাদের মধ্যে কোন লুকোচুরি বা রাখঢাক নেই। তাদের দেখলে মনে হয়, সেরনিয়াবাত সাদিকই আওয়ামী লীগ মনোনীত কেন্ডিডেট। এ প্রসঙ্গে জনৈক নেতা বলেন, নির্বাচন জমজমাট করার কৌশল হিসেবেই সাদিক আবদুল্লাহকে দলীয় মনোনয়নের বাইরে রাখা হয়েছে। এবং আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড ভালো করেই জানেন, কার সাংগঠনিক দক্ষতা এবং জনভিত্তি ও জনপ্রিয়তা বেশি। এবারের নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হবে জনগনের ভোটে, অন্যকোন ইকোয়েশন কাজে আসবে না। আর এরচেয়েও বড় কথা হচ্ছ, সামনে রাজনীতির সম্ভাব্য কঠিন সময়কে বিচেনায় রেখেই নির্বাচনী ছক তৈরী করা হয়েছে। আর এর আওতায় সাদিক আবদুল্লাহর বিকল্প বরিশালে নেই। এবং এটি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা ভালো করেই জানেন।