দখিনের সময় ডেস্ক:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। বৈঠকে শরিকদের জন্য আওয়ামী লীগ কতগুলো আসন ছাড়বে, সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ৩০টি দলের প্রার্থীরা এবার নির্বাচনে আসছেন। অন্যদিকে, বিএনপিসহ ১২টি রাজনৈতিক দলের কোনো প্রার্থী এই নির্বাচনে নেই।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, মঙ্গলবার মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এবার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৬৬ জন। আর ৭৪৭ জন প্রার্থী নির্বাচন করবেন স্বতন্ত্র হিসেবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশের ৩০০টি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা চেয়েছেন ৩০৩ জন। পাঁচটি আসনে নৌকার বিপরীতে দুজন করে প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোও নিজেদের মতো করে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে তরিকত ফেডারেশনের ‘ফুলের মালা’ প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ৪৭ জন, সাম্যবাদী দলের ‘চাকা’ প্রতীকে ৬ জন, গণতন্ত্রী পার্টির ‘কবুতর’ প্রতীকে ১২ জন, জাতীয় পার্টির (জেপি) ‘বাইসাইকেল’ প্রতীকে ২০ জন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ‘হাতুড়ি’ প্রতীকে ৩৩ জন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ‘মশাল’ প্রতীকে ৯১ জন। প্রায় সবগুলো আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী থাকায় দলটি ১৪ দলের শরিকদের জন্য শেষ পর্যন্ত কতগুলো আসন ছাড়বে, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে।
বর্তমানে ভোটের মাঠে থাকা রাজনৈতিক জোটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো বলা যেতে পারে ১৪ দলীয় জোটকে। বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কয়েকটি রাজনৈতিক দল নিয়ে ২০০৪ সালে গঠিত হয় রাজনৈতিক জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দল। জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ। শুরু থেকেই এই জোটের সমন্বয়ক ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মোহাম্মদ নাসিম। তাঁর মৃত্যুর পর এ দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু। আওয়ামী লীগ ছাড়াও ১৪ দলীয় জোটে থাকা দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি (জেপি), সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও তরিকত ফেডারেশন উল্লেখযোগ্য।